আলকামা রমিন, খুবি : ‘মহান বিজয় দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিশেষ হল ফিস্টের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে প্রায় আড়াই হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৫ হাজার অনাবাসিক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে বঞ্চিত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই বিভিন্ন হলে অনাবাসিক হিসেবে সংযুক্ত রয়েছেন। এক্ষেত্রে বিজয় দিবস উদ্যাপনে উন্নতমানের খাবারের আয়োজন শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য করায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, ‘অপর্যাপ্ত আবাসনের কারণে হলে সিট পাচ্ছেন না তারা, পাশাপাশি বিশেষ দিবসগুলোতে আয়োজিত হল ফিস্টগুলোতেও অনাবাসিক হওয়ার কারণে অংশ নিতে না পারাটা দুঃখজনক। বিজয় দিবস সবার জন্য সমান আনন্দের হওয়া উচিত। আমরা অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা কেন এই আয়োজন থেকে বঞ্চিত হব? এটি আমাদের প্রতি অবিচার। হল প্রশাসনের উচিত ছিল সবার জন্য ফিস্টের আয়োজন করা।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবাসিক শিক্ষার্থীরাও অনাবাসিকদের হল ফিস্ট বরাদ্দের দাবিতে একমত জানিয়েছেন।
খান জাহান আলী হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী মো. ইসতিয়াক বলেন, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ফিস্ট না দেওয়ায় আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যও এই ফিস্টের আয়োজন করা।
হলের আরেক অনাবাসিক শিক্ষার্থী অরণ্য কুমার ঘোষ বলেন, ‘একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে সবারই এই ফিস্টের ওপর অধিকার আছে, তাহলে অনাবাসিকরা কেন বঞ্চিত হবে, কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ কামনা করছি যাতে অনাবাসিকরা ও এই ফিস্ট পেতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থী ইউসুফ সাদিক বলেন, আমাদের কাছে এখন বিশ্ববিদ্যালয় একটি আবেগের জায়গা। যেকোনো অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ আমাদের এই আবেগ আরো শতগুণ বাড়িয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্ত সাথে আমি সম্পূর্ণ বিরোধিতা করছি।
শিক্ষার্থীদের অসন্তুষ্টির বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি ও খান জাহান আলী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. খসরুল আলম বলেন, প্রতি বছর আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যই হল ফিস্টের আয়োজন করা হয়। যেহেতু হলের ফান্ড থেকে এই খরচ বহন করা হয়, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের থেকে যে টাকা নেয়া হয় প্রতি টার্মে তা ডাইনিং ভর্তুকিসহ হলের ফিস্টে খরচ করা হয়। এই ফিস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা কোনো বাজেট থাকে না। বাজেট থাকলে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যও ফিস্টের আয়োজন করা যেত। সব শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করতে পারলে সেটা আমার জন্য বেশি আনন্দের।’