খুবি প্রতিনিধি : পবিত্র মাহে রমজানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) গণ-ইফতার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (০৮ ফেব্রয়ারি) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে গণ-ইফতার আয়োজন করা হয়। এসময় প্রায় ৩ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত গণ-ইফতার মাহফিলে আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে পরিবেশিত রমজানের গান। “মাহে রমজান এলো বছর ঘুরে/ মুমিন মুসলমানের দ্বারে দ্বারে/ রহমতেরই বাণী নিয়ে/ মাগফিরাতের পয়গাম নিয়ে/ এলো সবার মাঝে আবার ফিরে।” কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত এবং ইসলামী বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থিত সবার মধ্যে এক আত্মিক প্রশান্তি ছড়িয়ে দেয়। এ পরিবেশনা গুলি ধর্মীয় একাত্মতা এবং রমজানের মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। গণ-ইফতারে সাধারণ রোজাদার ও শিক্ষার্থীরা আসরের নামাজের পর থেকে একে একে কেন্দ্রীয় মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন।
ইফতারের আগমুহূর্তে সাওমের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি আব্দুল কুদ্দুস তিনি বলেন, “রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস। আর এ তাকওয়া অর্জনের অন্যতম উপায় হলো আমাদের আচরণকে সুন্দর করা। আমরা যদি অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করতে ব্যর্থ হই তাহলে আমরা তাকওয়াবান হতে পারবো না। রমজান থেকে শিক্ষা নিয়ে বাকি জীবন যেন আমরা চলতে পারি।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর কমিটির উপদেষ্টা মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, “এ গণ-ইফতার কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এই আয়োজনটি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের একত্রিত করেছে। এটি একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে।”
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: রেজাউল করিম বলেন, রমজানে গণ-ইফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐক্য, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার মনোভাব সৃষ্টি করে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রমাণ করেছে, ইসলামের পবিত্র এই মাসের মূল্যবোধ শুধু ধর্মীয় দিক দিয়েই নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের এক দুর্দান্ত উদাহরণ। রমজানের প্রকৃত উদ্দেশ্য—সামাজিক সংহতি, মানবিকতা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার চেতনা—এই গণ-ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে তা পূর্ণ হয়েছে। অনেক শুভকামনা ও ধন্যবাদ যারা এটি আয়োজন করেছে।