জন্মভূমি ডেস্ক : বিয়ের প্রলোভনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রাফি ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এ রায় দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে রাফি ইসলামের পরিচয় হয় খুলনার রূপসা উপজেলার বেলফুলিয়া এলাকার ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর সঙ্গে। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাফি ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। ২০২২ সালের ১৭ মার্চ খুলনার সোনাডাঙ্গা একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। ঢাকায় নিজেদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ও খুলনায় গিয়ে ওই হোটেলে তাকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ছেলের পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও সমাধান হয়নি। আসামি ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশনায় একই বছরের ১১ জানুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। পরে ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানার এস আই সোহেল রানা আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আজ বুধবার আদালতে মামলার আসামি রাফি ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদ আহমেদ আরও বলেন, আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। কারণ শিক্ষার্থীদেরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনা অহরহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখতে পাই। এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান আছে সেটাই প্রমাণ হলো এই রায়ের মাধ্যমে। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কোনো মেয়ের সর্বনাশ না করতে পারে, সেজন্য এ রায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।