জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি)’র শিক্ষার্থী অণর্ব সরকার (২৬) খুনের কারণ উদঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশ তিন জনকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদেরকে সোনাডাঙ্গার বিভিন্ন স্থান থেকে ধরা হয়েছে। যেহেতু তাদেরকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি, সেহেতু তাদের সম্পর্কে তাৎক্ষনিকভাবে বিস্তারিত বলতে পুলিশ অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনিটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছেন, নিহত যুবক শহরের একটি সন্ত্রাসী বাহিনির সাথে যুক্ত ছিলেন। চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। নিহত অর্ণব খুবিতে ব্যবসা প্রশাসনে এমবিএ করছিলেন। শুক্রবার রাতে সোনাডাঙ্গা থানাধীন তেতুলতলা মোড় এলাকায় ঘাতকেরা অর্ণবকে নৃশংসভাবে খুন করে। তার মাথায় গুলি করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাত-পায়ের শিরা কেটে দেয়া হয়। ছুরিকাঘাতও করা হয়। আততায়ীরা ঘটনাস্থলে কয়েক রাউণ্ড ফাঁকা গুলিও করে। পুলিশের পৃথক দুইটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পুলিশ জানায়, ময়না তদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশের সৎকার শেষে ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করতে আসবেন। সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি শটগানের ও পিস্তলের তিন-চারটি গুলির খোসা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। যে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে-তারা নিহতের কন্ধু-বান্ধব। সুরতহাল রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মরদেহের মাথায় গুলির ক্ষত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। ওসি বলেন, ভিকটিমের তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদসহ অন্যান্য সূত্র ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপর একটি সূত্র বলছেন, নিহত ছাত্র অর্ণব নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন গ্রেনেড বাবুর অনুসারি একটি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। “ওই রাতে বেশ কয়েকজন মিলে হত্যাকাণ্ডের স্থলে উচ্চস্বরে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়।” অকুস্থলের আশ-পাশের কয়েকজন পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।