জন্মভূমি ডেস্ক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন। এর আগে তিনি অধিদফতরের এনসিডিসি প্রকল্পের লাইন ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের নিয়োগ বাতিলের তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের (কোড নম্বর ৩৮০১৩) সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পারসোনেল ২ শাখার সহকারী সচিব এম কে হাসান জাহিদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) পদে অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন নিয়োগের তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে (৪১৩৯২) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) পদ ও কর্মস্থলে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও প্রজ্ঞপনে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলমসহ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ সব কর্মকর্তার অপসারণসহ দুই দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন হাসপাতাল-স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা। দ্রুততম সময়ে এসব দাবি মেনে না নিলে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুমকিও দেন তারা।
চিকিৎসকরা দাবি করেন, গত ১৫ বছরের শাসনামলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে কর্মকর্তারা বিক্রি হয়ে অবৈধ নিয়োগ-পদোন্নতি দিয়েছে। তাই আমরা বর্তমান ডিজিসহ সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ চাই।
চিকিৎসকদের দুই দফা দাবিগুলো হলো— স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ দুর্নীতিবাজ সব কর্মকর্তাকে দ্রুততম সময়ে অপসারণ করতে হবে এবং অবৈধভাবে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন পাওয়া সবকিছু বাতিল করতে হবে।