
ভোগ্য পণ্যের দাম নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন
জন্মভূমি রিপোর্ট : আলু, পেঁয়াজ আর ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে খুলনায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন। দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর থেকে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করছে তারা। তবে মহানগর, জেলা ও উপজেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের এই অব্যাহত অভিযানের মুখেও কমেনি এই তিনটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ভুয়া রশিদেরমাধ্যমে আগের দামেই ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রি করছেন। এদিকে আলু, পেঁয়াজ আর ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসায় মাছ ও সবজির দামও বাড়তে শুরু করেছে।
শনিবার নগরীর রূপসা, নিরালা, টুটপাড়া, নতুন বাজার ও ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুলনার বাজারে আজ ৩৬ টাকার পরিবর্তে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা আর ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সোনাডাঙ্গা পাইকারি কাঁচাবাজারে গেলে সেখানে ব্যবসায়ীরা মেমো দিতে আপারগতা প্রকাশ করছেন। কেউ আবার মেমোতে কম লিখে দাম ঠিকই আগের মতোই নিচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করলে পাইকারি বিক্রেতারা অন্যস্থান থেকে মালামাল কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে বাধ্য হয়ে কম দামের মেমোর আড়ালে আগের দামে পণ্য বিক্রি করছেন।
একই অভিযোগ নগরীর অন্যান্য বাজারের ব্যবসায়ীদেরও।
এদিকে ইলিশ রপ্তানির বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নগরের বাজারগুলোতে। ভরা মৌসুমেও মাছের দাম নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ মাছ ৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা, ভেটকি মাছ ৬০০ টাকা, রুই, কাতলা আর মৃগেল মাছ ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাগদা চিংড়ি ৫০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫০০-৬০০ টাকা,শোল মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-২৩০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১৫০-২৫০ টাকা, শিং ও মাগুর মাছ ৪০০-৯০০ টাকা, কৈ মাছ ৩০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছগুলো ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা রানা বলেন, আজ বাজারে আসা প্রায় সব ধরনের সবজির দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আলু, পেঁয়াজ আর ডিম সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি নিশ্চিত করতে প্রায় প্রতিদিনই নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনাকারী জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের খুলনার উপপরিচালক মো. সেলিম বলেন, আমরা একের পর এক বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানের ফলে অনেক বাজারে এখন এই তিনটি পণ্যের দাম অনেক কমে গেছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আশা করছি খুব শিগগিরিই আলু, পেঁয়াজ আর ডিম সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি শুরু হবে।