
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনার মানুষ রূপালী ইলিশের স্বাদ প্রায় ভুলতে বসেছে। সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়লেও বাজারে সরবরাহ কম। দামও অনেক চড়া। আবার কেউ বলছেন সমুদ্রে মাছ আহরণ কম হচ্ছে। পরিবহন খরচ অনেক বেশী হওয়ায় এর প্রভাব পড়ে মাছের ওপর। ফলে দামটা বেশ চড়া। খুলনায় একমন ইলিশের দাম ১লাখ ৫হাজার টাকা। এ দিয়ে এক কাঠা জমি ক্রয় করা যায়।
সূত্র জানিয়েছেন, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। মাছ ধরা শুরুর পর খুলনাস্থ বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারী বাজারে গত জুলাই মাসে ৮ দিনে ১৬ মেট্রিকটন এবং ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অবতরণ হয়েছে ১৩ মেট্রিকটন। এই পাইকারী বাজারে খুচরা পর্যায়ে ৪২ কেজিতে মন বিক্রি হয়। পাইকারী ২৫০ গ্রাম ওজনের প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ২৮ হাজার টাকা। যার প্রতিকেজি ৬৭৭ টাকা। ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমন ৩৫হাজার টাকা। প্রতি কেজি ১৪৬০ টাকা। ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ৪২ হাজার টাকা। যার প্রতিকেজি ১০০০ হাজার টাকা। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ৫৫হাজার টাকা। প্রতি কেজি ১৩০০ টাকা। ৭০০ গ্রাম এককেজি ওজনের প্রতিমন ৬৫হাজার টাকা। প্রতিকেজি ১৫৪৭ হাজার টাকা। এককেজি থেকে ১১শ গ্রাম প্রতিমন ৭৫হাজার টাকা। প্রতিকেজি ১৭৮৫ টাকা। ১২শ থেকে ১৩শ গ্রাম ওজনের প্রতিমন ৮০হাজার টাকা। প্রতিকেজি ১৯০৪টাকা। ১৪শ থেকে ১৫শ গ্রাম ওজনের প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ৯০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ২১৪২ টাকা এবং ১৭শ থেকে ১৮শ গ্রাম ওজনের প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে একলাখ ৫হাজার টাকা। যার প্রতিকেজি আড়াই হাজার টাকা। পাইকারী দামে ক্রয় করার পর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশী বিক্রি হচ্ছে।
খুলনা সদর থানার মোড়ে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। ক্রেতা মুক্তিযোদ্ধা বিএম সোলায়মান বলেন, মাছ কেনা হয়েছে। তবে দামটা একটু বেশী। বিক্রিতা মো. আমির হোসেন বলেন, সরবরাহ কম থাকলে দামটা বাড়তি থাকে। তারপর খরচ রয়েছে। আসল টাকা বাঁচানোর জন্য কখনো কেনা দামেও বিক্রি করতে হয়।
সরকারী অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারী বাজারের ব্যবস্থাপক মো. রাসেল শিকদার বলেন, ইলিশ প্রাকৃতিক সম্পাদ। বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে ইলিশ ধরা পড়ছেনা। যার ফলে আহরণ কম হচ্ছে। এ বছর মাছ কম। অনেক সময় মাছ গতি পরিবর্তন করে। সামনে যে সময় রয়েছে তাতে মাছের আমদানী বাড়তে পারে।