জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনায় ঈদের বাজার জমে উঠেছে। ঈদ সমাগত। আবার পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ। দু’টি উৎসব একই মাসে। ক্রেতারা দু’টি উৎসব একই নতুন পোষাক দিয়ে পালন করবেন। প্রতিটি দোকানে থরে থরে সাজানো গোছানে নানা রকম পোষাক। এবারের ঈদে আকর্ষনীয় তেমন কোন আইটেম না থাকলেও এই গরমে সুতী কাপড়ের বেশী চাহিদা রয়েছে সেই সাথে রমনীদের পছন্দ সুতী পরাগ প্রিন্ট শাড়ি।
নগরীর নিউ মার্কে, অঞ্জনস্, আড়ং, জলিল টাওয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, হযরত শাহজালাল শপিং মহল, তুলা পট্টি, নান্নু সুপার মার্কেট, শহিদ সরোওয়ার্দী বিপনী বিতান, এ্যাডভোকেট শহিদ আ. জব্বার বিপনী বিতান, রেলওয়ে মার্কেট, দরবেশ চেম্বার, হ্যানিমান মার্কেট, আক্তার চেম্বার, খুলনা বিপনী বিতান, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিপনী বিতান, ছোয়া বাজার, মানিক মিয়া শপিং কমপ্লেক্স, হাজি মালেক চেম্বার, খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, বড় বাজার পাবনা পট্টি ও কাপুড়িয়া পট্টিসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানে রয়েছে হরেক রমন শাড়ি, থ্রি পিস, ওয়ান পিস ও টপসসহ শিশু পোষাক।
ব্যবসায়ীরা জানান, সেই কাঙ্খিত বিক্রি হচ্ছে না। অনেকটা অলস সময় পার করছেন। ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ফুট পাতেও পসরা সাজিয়ে বসছেন। বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় শো রুম ও ফ্যাশান হাউজগুলো সেজেছে নবরূপে। ছিট কাপড়ের দোকানে সামন্য ভিড় দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জাকাতের কাপড় কিনতে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেনা। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন যে টাকায় একটি শাড়ি ক্রয় করবেন সেই টাকা দু’জনকে ভাগ করে দিবে। ক্রেতারা সেই সাথে ম্যাচিং করে কিনছে জুতা স্যান্ডেল ও ইমেটেশন’র গহনা। টুপি আতরের দোকানেও রয়েছে ভিড়। উপজেলার বিপনী বিতানগুলোতে কেনা কাটার ভিড় দেখা দেখা গেছে।
ক্রেতা মো. সুজন বলেন, কয়েকটা দোকান দেখলাম। দামটা একটু চড়া। তবে কিনতে হবে। বড় বাজারের তুলা পট্টির নিউ মদিনা গার্মেন্টস’র সত্ত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম ও হযরত শাহজালাল শপিং মহল’র মিজান শাড়ি হাউজের সত্ত্বাধিকারী এম এম মিজানুর রহমান বলেন, বিক্রি কিছুটা বাড়ছে। অন্য বছর সরেবরাতের পরেই বিক্রি শুরু হয়। এ বছর একটু বিলম্বে কেনাকাটা শুরু হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত