৭ লাখ ৫৩ হাজার কৃষক পাচ্ছেন বীজ ও সার
হারুন-অর-রশীদ : খুলনা অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মাঝে ৫৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫ টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। ৭ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন কৃষক এই সুযোগ পাবেন। প্রতিজন কৃষক ১ বিঘা করে বিঘা জমিতে রবি ও খরিপ মৌসুমে আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ৪ বছরে সরকার এই টাকা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছে। সরকারি প্রণোদনায় কৃষি খাতে এই অঞ্চলের উন্নয়ন হয়েছে। তবে টাকার পরিমান আরো বাড়তে পারে। কৃষি বান্ধব সরকারের সহায়তা পেয়ে কৃষক প্রতি বছরে অধিকহারে আবাদ ও উৎপাদন বাড়িয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে কৃষি খাতে উন্নয়ন হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলা নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চল। এই অঞ্চলে প্রতি বছর রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্য্যমুখি, চিনাবাদাম, পিয়াজ, মুসরী ও খেশারী ডাল, বোরো, সয়াবিন, মুগ, আমন আবাদ ও উৎপাদনের জন্য ৩৩ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে কৃষক এই প্রণোদনার সুযোগ পাচ্ছেন। টাকার পরিবর্তে কৃষক পাচ্ছেন বিনামূল্যে বীজ ও সার। এতে উৎপাদন বাড়লে সরকারে আমদানী নির্ভরতা কমবে।
জেলা প্রশাসককে সভাপতি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে সদস্য সচিব করে জেলা কৃষি পুনবার্সন বাস্তবায়ন কমিটি করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনার নগদ টাকার পরিবর্তে সরকার অনুমোদিত ডিলারদের কাছে থেকে বীজ ও সার নিয়েছেন ।
২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা বিতরণের জন্য কৃষি পুন:বার্সন কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৭ হাজার ৮০০ জন কৃষক পাচ্ছেন ৭ কোটি ৭০ লাখ ৯৭৫ টাকা।
২০২১-২২ অর্থ বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার ১১০ জন কৃষক পাচ্ছেন ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৭০জন কৃষক পাচ্ছেন ২৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬০ জন কৃষক পাচ্ছেন ১২ কোটি ১১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। প্রতি জন কৃষক পাচ্ছেন ৭১০ টাকা। কৃষি বান্ধব সরকার দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটানোর জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছেন। এই সহায়তা পেয়ে কৃষক ঘুড়ে দাড়িয়েছেন। সবজি উৎপাদনে কৃষক মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কৃষক সরকারের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ধানসহ বিশেষ কিছু ফসলে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কৃষক যাতে সহজে উৎপাদন বাড়তে পারে। জনসংখ্যা বাড়ছে। তাদের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য সরকার নানামুখি ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিন বছরের মধ্যে আমদানী নির্ভরতা কমাতে হবে। যাতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হন এবং উৎসাহ পান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পতিত জমিতে আবাদ করা হচ্ছে।