জন্মভূমি রিপোর্ট : আত্মসংযম আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস পবিত্র মাহে রমজান। এই মাস মুসলিম উম্মার জন্য মহান আল্লাহ তালার অন্য শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। রমজানে ইফতারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ইফতারে দাম বেশী। হালিমের বাজার বেসামাল।
সূত্র জানিয়েছেন, খুলনায় রয়েছে নাম করা হালিম। নানা হালিমসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে হালিম। বিভিন্ন দোকানে ভিন্ন নামে বিক্রি হচ্ছে হালিম। হালিম বিক্রি হচ্ছে ফুট গ্রেড পাত্রে ও সেই পুরনো ঐতিহ্য মাটির পাত্রে(মালসায়) ৭০টাকা থেকে শুরু করে ১০০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে হালিম।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, হালিম তৈরীর উপকরণ খাশির মাংস ও মুগডালের দাম বেশী হওয়ার কারণে এর প্রভাব পড়েছে তৈরী হালিমের ওপর। নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে নানা প্রকার ইফতার সামগ্রী। ইফতারের মধ্যে রয়েছে খেজুর, শাহী জিলাপী, রেশমী জিলাপী, পিয়াজু, বেগুনী, আলুর চপ, ডিমের চপ, ফুলুরী, চিংড়ির চপ, পাকুড়া, ভেজিট্যাবল রোল, টিকিয়া, খাশির কলিজা, ছোলা, মুড়ি, বোরহানি, চিড়া-দই, কলা, পাটিশাপটা পিঠা, আখের রস, মাঠা, মুরগী ফ্রাই, এবং এই মৌসুমের তরমুজসহ রকমারী ফল। রোজাদার ও ভোজন প্রিয় হাজার হাজার মানুষের ঘটে মিলন মেলা। প্রতিটি দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে দাম একটু বেশী। প্রতিটি পণ্যের কম দামে বিক্রি হচ্ছে ৫টাকায়। উপজেলা পর্যায়ে ইফতার সামগ্রীর দাম একটু কম রয়েছে। অনেকে কম লাভে বিক্রি করছে।
নগরীর ডেলটাঘাট এলাকায় ইফতার বিক্রতা মো. ফারুক হোসেন বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে সে ইফতার বিক্রি করছেন। এ বছর ইফতার তৈরীর উপকরণের দাম বেশী হওয়ার কারণে ইফতারের দাম বেশী।
ভ্রাম্যমান কলা বিক্রেতা মো. আব্দুস সোবাহান বলেন, চড়াদামে কলা ক্রয় করতে হয়। তার পর আবার আড়ৎদাড়ি দিতে হয় ফলে একটু বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পিকচার প্যালেস মোড়ের হালিম বিক্রেতা মো. মনসুর আহমেদ বলেন, খাশির মাংস,ডাল ও চুঁইঝালসহ মসলার দাম বেশী হওয়ার কারণে হালিমের দাম একটু বেশী। তার এখানে ৭০-থেকে মাটির পাত্রে ৮০০টাকায় হালিম পাওয়া যাচ্ছে। আবারো একটি বছর পর ফিরে আসবে এই পবিত্র মাহে রমজান ও ইফতার।
ইফতার ক্রেতা মো. আ. রহমান বলেন, দাম যতই হোক কিনতে হচ্ছে। তবে কলার দাম বেশী।