জন্মভূমি রিপোর্ট
গ্রীষ্মের প্রচÐ গরমে হাসঁফাঁস করছেন খুলনা মানুষ। এই দু:সহ গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে রসালো ফল তরমুজের দিক ঝোকছেন মানুষ। ইফতারে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অন্যতম উপকরণ হচ্ছে তরমুজ। এ কারণে তার চাহিদাও রয়েছে। এই সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা আকাশ ছোয়া দামে বিক্রি করছেন তরমুজ। কেজি দরে কিনে প্রতিনিয়ত ঠকছেন ভোক্তারা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০টাকা দরে। খুচরা ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে কিনে বিক্রি করছেন কেজি দরে। ২শ’ টাকার তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬শ’টাকায়। বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করলেও খুলনায় নিরব ভূমিকা পালন করছেন সরকারি এই সংস্থাটি। নি¤œ ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে এই পণ্যটি। মধ্যসত্ব ভোগীরা লাভবান হলেও কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।
খুলনা পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় কদমতলা পাইকারি আড়তে বিপুল পরিমান তরমুজ রয়েছে। প্রতিটি আড়তে স্তুপাকারে রয়েছে তরমুজ। সড়ক ও নৌ পথে খুলনার আড়তে আনা হচ্ছে। আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, ভোলা, পটুয়াখালি, রাঙাবালি, কুয়াকাটা, বরগুনা, গলাচিপা, ধানখালি, বাজুয়া ও বটিয়াঘাটা থেকে খুলনার এই মোকামে তরমুজ আনা হয়। এখান থেকে নাটোর, রাজশাহী, ঈশ^রদী, কুষ্টিয়া, মোমেনশাহী, সাতক্ষীরা ও নোয়াখালিসহ বিভন্ন স্থানে পাঠানে হয়। তারা জানান, খরার কারণে সেচের অভাবে এবছর ফলন কম হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। ফলে দামটাও একটু বেশী।
আড়তে পাইকারী ৬-১২কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে পিস হিসেবে প্রতি ১শ’ ২৫-৩০ হাজার টাকা। ৩-৫ কেজি ওজনের বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ হাজার টাকা এবং নি¤œমানের (ক্যাট) বেচা হচ্ছে ৪শ টাকায়। এই তরমুজ খুচরা বাজারে ওজনে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৩০- ৫০ টাকায়।
নগরীর ডাক বাংলো মোড়র খুচরা ব্যবসায়ী মো. হিরক মল্লিক বলেন, তিনি এ বছর সর্বোচ্চ ১২ কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি করছেন ৬শ টাকায়। এই রমজানে একটু চাহিদা বেশী।
কদম তলার পাইকারী আড়ৎদার মেসার্স খন্দকার ভান্ডারের সত্ত¡াধিকারী মো. মহসিন খন্দকার বলেন, এ বছর খরার কারণে ক্ষেতে অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে। দাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। এ কারণে একটু দাম বেশী। তবে পাইকারী বাজারে দাম কম রয়েছে। খুচরা বাজারে দাম বেশী হওয়ার বিষয় তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।
খুচরা ক্রেতা মো.আলমগীর হোসেন বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।