
খুলনা : নগরীর সোনাডাঙ্গা থনাধীন বসুপাড়া এলাকার একটি বাসায় গলায় ফাঁস ইসরাফিল (১৫) নামে এক দোকান কর্মচারী করেছেন। সোমবার দুপুর একটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোর ছেলেটির আত্মহননের কারণ পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে জাসতে পারেনি। পুলিশ জানায়, নিহত ইসরাফিরের বাবা শাহিন মোল্লা এবং আরেক ভাই একটি হোটেলে শ্রমিকের কাজ করেন। মাও অন্যের বাসায় কাজ করেন। ইসরাফিল কাজ করতেন-একটি রাবার স্ট্যাম্প তৈরির দোকানে। যদিও গত ১০-১৫ দিন ধরে তিনি কাজে যাচ্ছিলেন না। সংসারের আরেক ছোট বোন (৪) কে তিনি সকালে বকা-ঝকা করে খালার বাসায় পাঠিয়ে দেন। হয়ত, নির্জন বাসায় আত্মহত্যার জন্য তিনি বোনটিকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলেন। বানিয়াখামার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুব্রত কুমার বিশ^াস বলেন, দুপুর ১২ টা থেকে সাড়ে ১২ টার মধ্যে ইসরাফিল ঘরের ইলেকট্রিক ফ্যানের পাখার সাথে একটি গামছা ও একটি ওড়না পেচিয়ে ঝুলে ছিলেন। পরবর্তীতে তার খালা ওই বাসায় এসে দরজার ফাঁক দিয়ে তাকে ঝুলে থাকতে দেখেন। এরপর অন্যদের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তার লাশ ময়না তদন্তের অপেক্ষায় খুমেক হাসপাতালের মর্গে ছিল। থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।