তথ্য বিবরণী : বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলো সুন্দর ও যথাযথভাবে পালন করতে পারে। ধর্মীয় সম্প্রীতির সুরক্ষায় সবাইকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে। খুলনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিভাগীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্মেলনকক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক দিনব্যাপী কর্মশালায় অতিথিরা এসব কথা বলেন।
অতিথিরা আরও বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা মারামরি ও হানাহানি থেকে বিরত রেখে মানুষকে বিনয়ী হতে শেখায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় বাংলাদেশের উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি সুসংহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান অতিথিরা।
বিভাগীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক শেখ আকরামুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক আবু সাইয়েম। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ এ এফ এম নাজমুস সউদ, আন্ত:ধর্মীয় সংলাপের পরিচালক ফাদার মিম্মো পিয়েতানজা এবং হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রশিক্ষক মেধস্ ব্যানার্জী। কর্মশালায় শিক্ষক, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেম, আলেম, সাংবাদিক ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।