বিজ্ঞপ্তি : দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা খুলনায় এক মিলন মলোর মাধ্যমে তাঁদের ধান-এর জাত উদ্ভাবনের নানা পরিক্রমা তুলে ধরছেন। বুধবার মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সম্মেলন কক্ষে ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনের গল্প বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে নেত্রকোনার ব্রিডার কৃষক নয়ন মিয়া ও সৈয়দ আহম্মেদ খান বাচ্চু, মানিকগঞ্জের মো: মনোয়ার হোসাইন, রংপুরের আদিবাসী কৃষক মালতী মিনজি, ময়মনসিংহের মো: আব্দুল বারী, সাতক্ষীরার মো: শেখ সিরাজুল ইসলাম ও দিলীপ তরফদার, রাজশাহীর নূর মোহাম্মদ এবং খুলনার আরুনি সরকার তাদের এলাকা উপযোগী ধানের নতুন জাত ও এই সকল জাত উদ্ভাবনের অভিজ্ঞতা তথ্য তুলে ধরেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লোকজের আয়োজন এবং মিজরিও-জার্মানীর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিটিতে সভাপতিত্ব করেন লোকজের সভাপতি সাংবাদিক-গবেষক গৌরাঙ্গ নন্দী। লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের স্বাগত বক্তব্য এবং কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সাবেক অধ্যক্ষ ড. এস এম ফেরদৌসের তথ্য উপাত্ত্ব উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে ব্রিডার কৃষকদের অভিজ্ঞতার উপর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বক্তব্য রাখেন খুবির প্রফেসর ড. মরিরুল ইসলাম রিপন, প্রফেসর ড. মো: রায়হান আলী, প্রফেসর ড. মো: রেজাউল ইসলাম, প্রফেসর ড. সাঈদা রেহেনা, ডিএই অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ, ড. তাহমিদ আনসারি, ড. হারুন-অর রশিদ, মো: নজরুল ইসলাম, ড. মো: বাবুল আক্তার, এসএম আতিয়ার রহমান, মো: রবিউল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে খুলনার শিক্ষাবিদ, কৃষি গবেষক, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন ও সিভিল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনের গল্প অনুষ্ঠানে নেত্রকোনার ব্রিডার কৃষক নয়ন মিয়া ৪টি ও সৈয়দ আহম্মেদ খান বাচ্চ ৪টি, মানিকগঞ্জের মো: মনোয়ার হোসাইন ৩টি, ময়মনসিংহের মো: আব্দুল বারী ২টি, সাতক্ষীরার মো: শেখ সিরাজুল ইসলাম ১টি ও দিলীপ তরফদার ২টি, রংপুরের আদিবাসী কৃষক মালতী মিনজি ১টি, রাজশাহীর নূর মোহাম্মদ প্রায় ২শ’টি এবং খুলনার আরুনি সরকার ১০টি উদ্ভাবনের নানা পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান। অনুষ্ঠানে বক্তরা এলাকা উপযোগী বিভিন্ন ধান উদ্ভাবনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।