মোঃ এজাজ আলী : তিন উৎসবকে ঘিরে নগরীর ফুলের দোকানগুলোতে বিপুল সংখ্যক ফুলের সমাগম ঘটেছে। আর কয়েকদিন পরেই ফয়লা ফাল্গুন, ভেলেন্টাইন্সডে ও মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। খুলনা মহানগরী ঘুরে দেখা গেছে, বসন্তে ভালো বাসার মানুষকে ফুল দিয়ে হাসি ফোঁটাতে বাজার গুলোতে ফুলের দোকানগুলেঅতে বেচাকেনার হিড়িক। বিগত দিনের মহামারির লোকসান পুষিয়ে নিতে উৎসবের রঙ ধরেছে ফুল ব্যবসায়ীদের মনে। তাই বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে নগরীর ফারাজী পাড়াস্থ ফুলমার্কেট, খালিশপুর, দৌলতপুর, ফুলমার্কেটে ফুলের বাজার এখন চাঙ্গা। বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবসে কেনাবেচা আর একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে ভালো কেনাবেচা করার আশায় দৌলতপুরের মীম গার্ডেন, পলক পুষ্প মালায়, মাধবী পুষ্প, জুঁই গার্ডেন সেজেছে বর্ণিল সাজে। করোনার ধাক্কা গেলেও বর্তমানে দ্রব্য মূল্যের উর্দ্বগতির মধ্যেও কাঙ্খিত সাড়া মিলবে বলে তারা নতুন করে বিনিয়োগ করছে। বাসন্তী উৎসবের মধ্যে দিয়েই শুরু হচ্ছে খুলনার ফুল মার্কেট ও দৌলতপুরের ফুল ব্যবসায়ীদের কেনাবেচা । ভালোবাসা দিবসের তো কথাই নেই, বাড়বে বাড়তি বেঁচাকেনার ব্যস্ততা। এছাড়া একুশের প্রথম প্রহর হতেই হতেই প্রভাত ফেরির আনুষ্ঠানিকতায় ভালো বেচাকেনার সাড়া মিলবে এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। শহর ঘুরে খো যায়, খুলনা-যশোর মহাসড়কের দৌলতপুর উত্তরা ব্যাংক চত্বর ঘেঁষে গড়ে ওঠা দোকানগুলোতে এখন শোভা ছড়াচ্ছে আমদানি করা ফুল। এসব ফুল দিয়ে চলছে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধরনের মালা গাঁথা, ফ্লাওয়ার রিং তৈরি ও কাগজ মোড়ানোর কাজ। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ফুলের দাম বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। প্রতিটি ফুল দোকানের সামনেই ক্রেতাদের নজরকাড়া ভিড়। নগরীর বাইরের ফুল দোকান ছাড়াও ফুলের মার্কেট হিসাবে পরিচিত ফুল মার্কেটের দোকানগুলোতে থরে থরে ফুলের শোভায় মুখরিত পুরো এলাকা। এর মধ্যে লাল গোলাপ, জুঁই, চামেলী, জারবেরা, রজনীগন্ধ্যা, গাঁদাসহ নানা রঙ ও বর্ণের ফুল রয়েছে। বেশির ভাগ ফুলই আমদানি করা হয়েছে যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী থেকে। দৌলতপুরের মীম গার্ডেনের ফুল বিক্রেতা সুমন জানান, প্রতি বছর ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে প্রায় দ্বিগুন দামে ফুল কিনে আনতে হয়। যে কারনে খরচ খরচা হিসাব করে বাধ্য হয়ে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, অন্য রঙের গোলাপ হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। রজনীগন্ধা ষ্টীক ২০-৩০ টাকা, মল্লিকা ৩০ টাকা, ক্যালেনডুলা ৩০ টাকা, জিপসি প্রতি থোকা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জারবেরা প্রতি পিস ৫০ টাকা। ফুলের তোড়া সর্বনিম্ন সাড়ে চারশ থেকে ছয়শ টাকা। এর মধ্যে তরুনদের পছন্দের শীর্ষে লাল গোলাপ ও জারবেরা রয়েছে বলে জানান। পহেলা বসন্ত ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের ব্যবসা জমজমাট থাকে। তারপর অপেক্ষা করতে হয় স্বাধীনতা দিবস ও বাংলা নববর্ষের। ফুল ক্রেতা সাথী বলেন, ভালোবাসা দিবসের জন্য ফুলের গায়ে আগুন লেগেছে। দু’দিন আগের ১০ টাকার গোলাপ এখন ৩০ টাকায় নিতে হচ্ছে। এটা অনেকটাই ডাকাতি করা।