মোঃ এজাজ আলী : খুলনায় আবারো বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেড়ে চলেছে সব ধরনের সব্জি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। গত তিন দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি কাঁচা মরিচের দাম চল্লিশ টাকা, বেগুন ও পেঁয়াজের দাম বিশ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও লাগামহীন বেড়ে চলেছে। ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাধা ব্যাথা। বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা মাঝে মাঝে দেখা গেলেও তা কাজে আসছে না। এমন মন্তব্য করেছেন ভোক্তারা। নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে মানভেদে কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঝিঙ্গে ৫০ টাকা, কুশি ৪০ টাকা, ঢ়েঁড়শ ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা, লাল শাক ও ঘি কাঞ্চন শাক ৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ তিন দিন আগে কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাকরল ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, ঝিঙ্গে ৪০ টাকা, কুশি ৪০ টাকা, ঢ়েঁড়শ ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা, লালশাক ও ঘি কাঞ্চন শাক ৫০ টাকা, কাঁচ কলা প্রতি হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। নগরীর বড় বাজার এলাকার মেসার্স নিউ তাজ ট্রেডিং এর দায়িত্বশীল আবুল কালাম বলেন, মাগুরা, ভোমরা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার পেঁয়াজ খুলনার চাহিদা মেটায়। চাহিদার তুলনায় খুলনায় পেঁয়াজের আমদানি কম। তিনি বলেন, খুলনায় পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন আট থেকে দশ ট্রাক পেঁয়াজ প্রয়োজন। সেই তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের আমদানি নেই। বিধায় এ পণ্যের দাম বাড়তি। লাভলু নামে এক ক্রেতা সন্ধ্যা বাজারে বাজার করতে এসে বলেন, সবজির এত দাম, তিনটা চারটা সব্জি কিনলেই একশ’ টাকা গুনতে হয়। নিত্য পণ্যের দাম বাড়লেও আমরা বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন তো বাড়ে নেই। আমারা সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।