মোঃ এজাজ আলী : আবারও খুলনায় সবজির বাজার চড়া। বাজারে লাল আলুর কেজি ৭০ টাকা, আর সাদা আলুর কেজি ৬৫ টাকা তবে, প্রকারভেদে সব আলু কেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গেল সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ছিল ৬০ টাকা কেজি দর, গতকাল একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। তবে টিসিবি থেকে খোলা ট্রাকে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৫০ টাকা কেজি দরে। রসুন ২৬০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কিছুদিনের মধ্যে সবজির দাম বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছে আড়তে নেই পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ। স্বাভাবিক হতে আরও দুই তিনদিন সময় লাগবে।
এদিকে বাজারের হঠাৎ লাগামহীন সবজির বাজারে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। এমনকি অধিকাংশ সবজির দোকান বন্ধ দেখা গেছে।
সবজি বিক্রেতা আকবার হোসেন বলেন, পরিবহন বন্ধ থাকায় সবজির সরবরাহ অনেক কম। আমি আজ সকালে সোনাডাঙ্গা টার্মিনালে যেয়ে সামান্য কিছু ফুলকপি, পেঁয়াজের কালি, বাঁধাকপি আর টমেটো পেয়েছি। তবে এসব সবজি আমাদের আশেপাশের চুকনগর, কেশবপুর, ডুমুরিয়া এলাকার হবে। বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়বে স্বাভাবিক। আমি ফুলকপি বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি দরে, টমেটো ৪০ টাকা কেজি, সিম ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৭০ টাকা কেজি, কাঁচাঝাল বরজের ২০০ টাকা কেজি, আর দেশে ঝাল ১২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া নগরীর দৌলতপুর সবজির বাজারগুলোতে দেখা গেছে আগের থেকে বেশি দামে বিক্রি সবজি। এ বিষয়ে কথা হয় ক্রেতা। আলমগীর হোসেনের সাথে তিনি বলেন, দুদিন পরিবহন বন্ধ আর এতে করে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পাবে। দেখেন এখন পেঁয়াজে, আলুর, মওসুম এখনও পর্যন্ত আলু ৬০ টাকা কেজির নিচে আসছে ? আসেনি। পাশাপাশি এখন বাজারে শীতকালিন সবজির সমারহ। এমনিতে শীতকালীন সময়ে সবজির দাম অনেক কম থাকে। তারপরও সবজির দাম কম নেই। প্রকার ভেদে মুলা, পালং শাক, আর পেঁপে, ছাড়া কিন্তু সব সবজির দাম বেশি। আসলে এর পিছনে কার হাত রয়েছে। আর কারসাজি করছে কে এদের যদি কঠোর আইনের আওতায় না আনা হয়। তাহলে অজুহাত থামবে না। এছাড়া বাজার মনিটরিং করতে আরও কঠোর হতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। পরিষেবা ব্যতীত সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত