
উন্নয়নের পালে হাওয়া
৬২১ কোটি টাকার ২০টি প্রকল্পের কাজ চলমান
হারুন-অর-রশীদ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল গ্রাম হবে শহর। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এখন এগিয়ে চলছে। গ্রাম হয়েছে স্মাট বাংলাদেশ। উন্নয়ন হয়েছে রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কৃষি, ডেয়ারি ফার্ম, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, ইন্টারনেট, কর্মসংস্থান, মডেল মসজিদ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান, মুক্তিযুদ্ধে ঐতিহাসিক স্থান সমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্থাপনাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। গ্রামের মানুষের বর্ষা কালে কাদা মাটি দিয়ে হাটতে হতো। ছিলনা বিদ্যুৎ । শতভাগ বিদ্যুতায়িত। রাস্তাঘাট পাকা। চলছে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ।
খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রামীণ জনপদ উন্নয়ন শতভাগ বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটি সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি গ্রাম এখন শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। যোগাযোগে আমুল পরিবর্তন আসছে। নির্বাচনী ইস্তেহারে ছিল গ্রাম হবে শহর। সে মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে পৌছে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকা।
খুলনায় ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এই ১৪বছরে এলজিইডি ৪হাজার ২১কোটি ১০হাজার টাকা ব্যয়ে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ৬শ’৬১কোটি টাকার ২০ প্রকল্প চলমান রয়েছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৩৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১০ কিঃমিঃ উপজেলা সড়ক উন্নয়ন । ২৪৯টাকা ব্যয়ে ১৭৮০ কিঃ মিঃ ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন। ১২৮৩ টাকা ব্যয়ে ১৭৮০ কিঃমিঃগ্রামীন সড়ক উন্নয়ন। ৫৯৭ টাকা ব্যয়ে ৭০৪ কিঃমিঃ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ । ৩৪৯ টাকা ব্যয়ে ৩টি বৃহৎ সেতু নির্মাণ। ৫২৬লাখ টাকা ব্যয়ে ১০৪টি সেতু কালভার্ট নির্মাণ। ৫১কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ। ১০কোটি ব্যয়ে ৮টি উপজেলা সার্ভার স্টেশন নির্মাণ। ৩৬কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ। ৩৩ কোটি টাক ব্যয়ে ৪২টি গ্রোথ-সেন্টার, হাট-বাজার। ১৫২কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৩টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ। ১৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ। ১৯কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৪৫০ একর জমি পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় আবাদযোগ্য করা। ৮কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫ কিঃমিঃ খাল খনন করা। ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি রেগুলেটর রক্ষণাবেক্ষণ করা। ৩কোটি ৫৮লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ কিঃমিঃ বাঁধ নির্মাণ। ৩১কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ। ৪কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪টি ভূমিহীন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ। ৩কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি মুক্তিযুদ্ধে ঐতিহাসিক স্থান সমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর নির্মাণ। ৩কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্থাপনা সমূহ সংরক্ষণ। ২১কোটি টাকা ব্যয়ে ২২টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ। ১কোটি ৮১লাখ টাকা ব্যয়ে শিল্পকলা একাডেমী ভবন ও মুক্তমঞ্চ নির্মাণ। ৬কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭৫টি সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন (মসজিদ, ঈদগাহ্, কবরস্থান, মন্দির ও শ্মশান ঘাট) করা। ৫কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ একর (৩৯টি) সারাদেশে পুকুর ও খাল খনন। ৮কোটি টাকা ব্যয়ে ১টি আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস সেন্টার নির্মাণ এবং ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩২লাখ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ করা।
এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি চলমান বড় সেতুর নির্মাণ করা চলছে রয়েছে। এর মধ্যে ডুমুরিয়ায় গ্যাংরাইল নদীর ওপর সেতু। একই উপজেলার ভদ্রা নদীর ওপর সেতু এবং পাইকগাছা কুরুলিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। এই তিনটি সেতুর নির্মিত হলে পাল্টে যাবে এলাকার দৃশ্যপট।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্ঠায় দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)’র নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম আনিসুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ ১৪বছরে খুলনায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা অতিতে হয়নি। এখনো অনেক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বিশেষ করে বৃহৎ তিনটি সেতুর কাজ চলমান। প্রধান মস্ত্রীর সঠিক নেতৃত্বের কারণে উন্নয়ন কর্মকান্ড হচ্ছে।