জন্মভূমি রিপোর্ট : শেষ মুহুর্তে চলছে খুলনায় ঈদের কেনাকাটা। অভিজাত বিপণী বিতানে ভিড় কম হলেও নিন্ম ও মধ্যবিত্তদের বেজায় ভিড় রয়েছ্।ে নিত্যপণ্যের প্রভাবও পড়েছে ঈদ বাজারে। ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের দম ফেলার সময় নেই। তীব্র তাপদাহে ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ থাকলেও কেউ মানছে না
নগরীর ক্লে রোড, হার্ড মেটাল গ্যালারি, ডাকবাংলোর মোড় ও জলিল টাওয়ারের মোড়সহ বিভিন্ন ফুটপাতে দোকানীরা বসছেন তাদের পসরা নিয়ে। রোদের মধ্যে ক্রেতারা ছুটছেন বিভিন্ন মার্কেটে। গরমে নাকাল অবস্থায় ক্রেতারা। চলছে শেষ মুহুর্তের কেনা কাটা।
প্রতিটি দোকানে থরে থরে সাজানো গোছানে নানা রকম পোষাক। এবারের ঈদে আকর্ষনীয় তেমন কোন আইটেম না থাকলেও এই গরমে সুতী কাপড়ের বেশী চাহিদা রয়েছে সেই সাথে রমনীদের পছন্দ সুতী পরাগ প্রিন্ট শাড়ি।
নগরীর নিউ মার্কে, অঞ্জনস্, আড়ং, জলিল টাওয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, হযরত শাহজালাল শপিং মহল, তুলা পট্টি, নান্নু সুপার মার্কেট, শহিদ সরোওয়ার্দী বিপনী বিতান, এ্যাডভোকেট শহিদ আ. জব্বার বিপনী বিতান, রেলওয়ে মার্কেট, দরবেশ চেম্বার, হ্যানিমান মার্কেট, আক্তার চেম্বার, খুলনা বিপনী বিতান, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিপনী বিতান, ছোয়া বাজার, মানিক মিয়া শপিং কমপ্লেক্স, হাজি মালেক চেম্বার, খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, বড় বাজার পাবনা পট্টি ও কাপুড়িয়া পট্টিসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানে রয়েছে হরেক রমন শাড়ি, থ্রি পিস, ওয়ান পিস ও টপসসহ শিশু পোষাক।
ব্যবসায়ীরা জানান, আগের তুলনায় বিক্রি অনেকটা বাড়ছে। তবে দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর একটু চাপ বাড়ে। তীব্র তাপদাহে অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। সে কারনে সন্ধ্যায় বিক্রির বেশী হচ্ছে। ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ফুট পাতেও পসরা সাজিয়ে বসছেন। বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় শো রুম ও ফ্যাশান হাউজগুলো সেজেছে নবরূপে।
জুতা -স্যান্ডেলের দোকানে রয়েছে বেজায় ভিড়। পোষাকের সাথে ম্যাচিং করে কিনছে জুতা স্যান্ডেল। নগরী খাজা খানজাহান আলী হকার্স মাকেট খুলনার মধ্যে ইমেটেশন গহনার বড় মোকাম। এখানে রয়েছে ভিড়। পা ফেলার জায়গা নেই। গলির মধ্যে গরমে ক্রেতাদের হাঁসফাঁস। টুপি আতরের দোকানেও ভিড় দেখা গেছে। সাথে রয়েছে সেমাই, চিনি ও মসলার দোকানেও ভিড়।
রূপসার রাজাপুর থেকে আগত ক্রেতা মো. বেলাল খান বলেন, দিনে গরমে বাজারে আসতে সাহস পাইনি। সন্ধ্যার পর আসলাম। পোষাকের দামটা একটু চড়া। বড় বাজারের তুলা পট্টির নিউ মদিনা গার্মেন্টস’র সত্ত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম ও হযরত শাহজালাল শপিং মহল’র মিজান শাড়ি হাউজের সত্ত্বাধিকারী এম এম মিজানুর রহমান বলেন, বিক্রি কিছুটা বাড়ছে। লোডসেডিং এ অতিষ্ঠ। দোকানে ক্রেতারা বসতে পারছেনা।