জন্মভূমি রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টিসহ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ৭ জন গ্রেফতার করে খালিশপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার কেএমপি প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। বিগত কয়েক মাস থেকেই কেএমপির উত্তর জোনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, নাশকতাকারী, স্বর্ণ চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি, অস্ত্র-গোলাবারুদ ব্যবসায়ী, চোরাই মোটরসাইকেল, জুয়াড়ি, বিকাশ এবং অনলাইন প্রতারণায় জড়িত প্রতারক, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত, হত্যাকান্ডে জড়িত আসামি ও ভূমিদস্যুসহ সমাজে যারা প্রভাব বিস্তার করে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে তাদের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দিবাগত রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খালিশপুর থানার একটি টিম কর্তৃক খালিশপুর থানার ২০ নং রোডস্থ ফেয়ার ক্লিনিকের পিছনে কামরুজ্জামানের বাড়ির নিচতলায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উপর নাশকতা, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা যোগসাজসে ধ্বংসাত্মক কর্মযজ্ঞে লিপ্ত থাকার সময় এজারহারনামীয় আসামি মোঃ কামরুজ্জামান (৩৩), এমজি সরোয়ার (৫০), মোঃ নাহিদ ইসলাম (১৯), মোঃ আবির হোসেন (২১), শেখ মুয়াজ (১৯), আবু নাইম (১৯) ও মোঃ ইকরামুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।
উলেখ্য যে, এ সময় ঘটনাস্থল হতে সরকার বিরোধী বিভিন্ন উস্কানীমূলক কথা লেখা প্রেরণা নামক ৩১টি বই, সত্যের সাক্ষ্য নামক ১টি বই, সরকার বিরোধী বিভিন্ন কার্য পরিকল্পনা লেখা ৩টি ডাইরী, ব্যক্তিগত ৯টি রিপোর্ট বই, ৮২ পৃষ্ঠার ১টি মাসিক রিপোর্ট ফরম, ২টি ল্যাপটপ (যার মধ্যে ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন কার্যক্রম ও সরকারের সার্বভৌমত্ব ক্ষতি করতে পারে এমন তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে); একটি রঃবষ টাচ ফোন এবং ২টি লোহার চাপাতি আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।