খুলনা : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ১২ই জুন। এ নির্বাচনে ছয়টি ওয়ার্ডে দলীয় পরিচয় ছাড়া জামায়াতের ছয় নেতা নির্বাচনী মাঠে। চলছে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা। জামায়াতের দলীয় কোন নির্দেশনা নেই। দলীয় নির্দেশনা থাকলে মাঠে আরো প্রার্থী থাকতেন বলে আশাবাদী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এদিকে জামায়াতের সকল নেতাকর্মীর নামে ডজনের উপর মামলা চলমান। ৩১ নং ওয়ার্ডের প্রার্থীর নামে রয়েছে ২৫টি মামলা। তারপরও তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। খুলনার একত্রিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে ছয়টি ওয়ার্ডে জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীর মধ্যে নগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে দৌলতপুর থানা জামায়াতের নায়েবে আমির এস এম আজিজুর রহমান, ৪ নম্বরে সরকারি বিএল কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আশরাফ হোসেন, ১২ নম্বরে মহানগর জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির শফিকুল আলম, ১৮ নম্বরে ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মশিউর রহমান, ১৯ নম্বরে সোনাডাঙ্গা থানা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল কাউন্সিলর প্রার্থী। কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফ হোসেন বলেন, এলাকার মানুষের অনুরোধে প্রার্থী হয়েছি। নিরপেক্ষতা রেখেই নির্বাচনে অগ্রসর হবো। কর্মীরা আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবেই রয়েছেন। মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল বলেন, আগে কাউন্সিলর ছিলাম। এলাকাবাসীর অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। দলীয়ভাবে নির্বাচন করছি না। সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনে গেলে জামায়াতের প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ত বলে তিনি মনে করেন। দলীয় কোনো নির্দেশনা নেই। ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশফাক বলেন, আ’লীগ, জামায়াত নাকি বিএনপির প্রার্থী এইটা দেখার বিষয় নয়। মানুষ হিসেবে ভালো-মন্দ বিবেচনা করতে হবে। জনপ্রতিনিধিত্ব করতে না পারলে নির্বাচিত হলেও কোন লাভ হবে না। ৩১ নং ওয়ার্ডের ভোটার সাইদুর আলম জানান, ৩১ নং ওয়ার্ড বন্দর নগরী খুলনার গুরুত্বপূর্ন একটি ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে প্রার্থীর সংখ্যাও বেশী। সকলেই জনপ্রতিনিধিত্ব করতে চায় বলে নির্বাচন করছেন। তবে নিরপেক্ষ ভোট হলে যোগ্য ব্যক্তিই নির্বাচন হবেন। জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল পূর্বে কমিশনার পদে ছিলেন। তিনি যদি যোগ্য হন, তিনি নির্বাচিত হবেন। এ নির্বাচনে প্রভাবশালীদের জোড় চলবে না বলে তিনি আশাবাদী।