
জন্মভূমি রিপোর্ট : পুলিশের কাজে বাঁধা ও আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে খুলনার বাসা থেকে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হালিমা রহমান (৪৫)কে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার স্বামী ও দেবরসহ আরো ১৪ জনকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় খুলনার খালিশপুর থানার বাস্তহারা আবাসীক কলোনী থেকে তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ১১ টার সময় খালিশপুর থানার ওসিসহ পুলিশের একটি টিম কৃষকলীগ নেত্রী হালিমা রহমানের বহুতল ভবনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হালিমার পুরুষ ও মহিলা কর্মী সমর্থকরা পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়। তারা ওসি সহ পুলিশ টিমকে লিফটের মধ্যে আটক করে রাখে। পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা এবং অশ্লিল আচারন করে। ঘটনা স্থান থেকে পুলিশ ৩ জনকে আটক করলে হালিমা রহমান, তার স্বামী ইভান কাজী ও দেবর মিনার কাজী, জাহিদুল ইসলামসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন নারী, পুরুষ পুলিশের উপর হামলা হামলা চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে রাখার চেষ্টা করে। প্রায় দেড়ঘন্টা পুলিশকে আটক করে রেখে হয়রানি করে হালিমা রহমান, এমন অভিযোগ পুলিশের। খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, রাত ৯ দিকে বাস্তহারা কলোনীর ২ নং রোডে ৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (২৪)কে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে ও মারধোর করে জখম করে ওই এলাকার চিহৃত সন্ত্রাসীরা। ওই আসামীদের মধ্যে কয়েজন মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, ধর্ষনকারীসহ বহু অভিযোগের অভিযুক্তরা হালিমা রহমানের বাসভবনে আত্মগোপন করে ছিল। সে আসামীদের ধরতে গেলে হালিমা রহমান পুলিশকে আটক করে এবং তার লোকজন দিয়ে হামলা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে পুলিশের সাথে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেত্রী হালিমা রহমানসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে ওসি জানান।