
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঙালি সনাতনী সমাজের একটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় সামাজিক উৎসব দুর্গা পূজা। আশি^ন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠি থেকে দশম দিন পর্যন্ত ৫দিন চলে এই শারদীয়া দুর্গা উৎসব। জাঁকজমক পূর্ণভাবে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এই পূজা। শেষ হবে বিজয় দশমীর মধ্য দিয়ে আগামী ২৪ অক্টোবর। অপূর্ব শোভা বর্ধন করে যেন আনন্দে উজ্জীবিত এই উৎসব।
খুলনায় ১০৩৬টি মণ্ডপে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্ভীদের শারদীয়া দুর্গোৎসব। মন্ডপ ও যেখানে প্রতিমা নির্মাণ হচ্ছে সেখানে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা আলোকসজ্জা ও লোডশেডিং না করার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। কারণ যদি বিদ্যুৎ না থাকে তা হলে দুস্কৃতিকারিরা মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারে। এমনকি যেখানে প্রতিমা নির্মাণ হচ্ছে সেখানেও ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। খুলনায় এ বছর ১০৩৬টি মণ্ডপে সার্বজনীন দুর্গোা পূজা হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর মন্ডপ বেড়েছে। এর মধ্যে নগরে ১৩৫ ও জেলায় রয়েছে ৯০১টি। চলছে প্রতিমা নির্মাণের কাজ। শিল্পীরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। এ বছর নগরীতে বেড়েছে। এর মধ্যে পারিবারিক ১টি ও সার্বনজনী ২টি বাড়তি হয়েছে। বাড়তিগুলোর মধ্যে নগরীর সদর এলাকায় ১টি ও খানজাহান আলী থানা এলাকায় ২টি।
সূত্র জানিয়েছেন, নগরীর পূজা মন্ডপগুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনা সদর থানা এলাকায় ২৭টি, সোনাডাঙ্গা ১৩টি, খালিশপুর ১০টি, দৌলতপুর ২১টি, খানজাহান আলী থানা এলাকায় ৯টি, হরিণটানা ৫টি, লবণচরা ১০টি এবং আড়ংঘাটা থানা এলাকায় রয়েছে ৪০টি।
জেলার কয়রা উপজেলায় ৫৭টি, পাইকগাছা পৌরসভায় ৬টি, পাাইকগাছা উপজেলায় ১৪৯টি, ডুমুরিয়ায় ২১৪টি, ফুলতলায় ৩৪টি, দাকোপ ৭৪টি, চালনা পৌরসভায় ১০টি, বটিয়াঘাটায় ১১৪টি, রূপসায় ৭৬টি, তেরখাদায় ১০৪টি এবং দিঘলিয়ায় ৬৩টি মণ্ডপে পালিত হবে এই বড় ধর্মীয় উৎসব। ডুমুরিয়ায় সব’চে বেশী মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। প্রতিমা নির্মাণের পাশাপাশি চলছে মন্ডপ নির্মাণের কাজ। করোনার কারণে বেশ কয়েকটি মন্ডপ বন্ধ থাকলেও এ বছর জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত পূজা। প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে সিসি ক্যামেরা, নিজস্ব সেচ্ছাসেবী ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা। পুলিশের পক্ষ থেকে রয়েছে তিনস্তরের নিরাপত্তা। আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। ইতো মধ্যে প্রতিটি মন্দিরে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। দুর্গার আগমনে ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির সুবাতাস। প্রতিটি মন্ডবে বাজবে শঙ্খ ধ্বনি ও কাশর।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নগর শাখার সভাপতি শ্যামল হালদার ও সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু বলেন, নিরাপত্তা বিধানে রাতে যেন লোডশেডিং না হয়। দিনে লোডশিডিং হলেও কোন সমস্যা হয়না। ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মণ্ডপের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। করোনার কারণে বেশ কয়েকটি মন্ডপ বন্ধ ছিল সেগুলোতে আবারো শুরু হচ্ছে সার্বজনীন দুর্গোৎসব।
আদি কালিপাড়া সার্বজনানীন পূজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল ব্যানার্জী বলেন, দ্রুত চলছে প্রতীমা নির্মাণের কাজ। সুব্রত হালদার তপা এই পূজা সম্পন্ন করতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর মন্ডপ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর মন্ডপ ছিল ১০১১টি। এ বছর ১০৩৬টি মণ্ডপে জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে এই উৎসব পালিত হচ্ছে।