স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন মনোনয়ন বঞ্চিত রেজভী ও সাইফুল
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনায় দলের মনোনয়ন-বঞ্চিত হয়ে নিজ সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একাধিক প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র কিনেছেন। জনপ্রিয়তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাঁরা সংসদ সদস্য পদে জয়ী হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া অন্যন্য দল মিলে এ পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে ২১ জন পত্র কিনেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রায় সবারই বক্তব্য- প্রধানমন্ত্রী যেহেতু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন, সেই হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধা নেই। জনপ্রিয়তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাঁরা সংসদ সদস্য পদে জয়ী হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সাংসদ ননী গোপাল মন্ডল ও খুলনা-২ আসনে মনোনিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এই দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ মনোনয়ন ক্রয় করেননি। তবে খুলনা-১ আসন থেকে জাকের পার্টির মনোনিত আজিজুর রহমান মনোনয়ন কিনেছেন। এছাড়া খুলনা-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ মনোনয়ন না কিনলেও জাকের পার্টির মনোনিত ফরিদা পারভিন ও গণতন্ত্রী পার্টি থেকে মতিয়ার রহমান মনোনয়ন ক্রয় করেন।
তবে খুলনা ৩ আসনে শ্রম প্রতমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এমপিকে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে ফুলবাড়ীগেট ও রেলিগেটে মানববন্ধন করেছে সমর্থকরা। এছাড়া কেউ স্বতন্ত্র পদে মনোনয়ন কেনেননি। খুলনা-৪ এ আসন থেকে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন কিনেছেন প্রার্থীরা। প্রার্থদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল। মনোনয়ন কিনেছেন স্পেন আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিজভী আলম। এছাড়া রয়েছে মোর্তুজা রশিদি দারা, এহসানুল হক, জুয়েল রানা, আতিকুর রহমান, রওশন জামিল, আনসার আলী। ইসলামী ঐক্যজোট নেতা রিয়াজউদ্দিন, আজমল হোসেন। স্পেন আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিজভী আলম বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ করতেই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবো। নৌকার সাথে আমার কোন বিরোধ নেই।
খুলনা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন কিনেছেন।এছাড়া আসনে আশিষ নামে একজন মনোনয়ন ক্রয় করেছেন।
এ্যাড মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, দলীয় প্রধানের সবুজ সংকেত রয়েছে, সেহেতু আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকতেই পারি। তবে দলের বাইরে গিয়ে নয়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।
জেলার সবচেয়ে আলোচিত আসন ছিলো খুলনা-৬। এ আসন থেকে বর্তমান সংসদস সদস্য মনোনয়ন বঞ্চিত হয়। একই আসন থেকে সর্বাধিক প্রার্থী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন কিনেছেন। অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকে পেছনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক বাম নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশিদুজ্জামান মোড়ল। তবে এই আসন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন কিনেছেন এস এম রাজু ও নেওয়াজ মোর্শেদ। জাকের পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন মর্তুজা আল মামুন। এ আসন থেকে বর্তমান সাংস আকতারুজ্জামান বাবুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কেনার গুঞ্জন শোনা গেলেও তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, নেত্রীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কখনো নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করিনি, ভবিষ্যাতেও করবো না।