জন্মভূমি রিপোর্ট : শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ম্যাজিকাল গুণাবলিতে বদলে গেছে খুলনার চিত্র। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উচ্ছসিত খুলনার ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজ কথা বলেছেন খুলনার চিত্র নিয়ে।
॥ শেখ আশরাফ উজ জামান ॥
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়নের সূচনা ঘটে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে মোংলা বন্দরও গুরুত্ব পেয়েছে। গাড়ি আমদানি হচ্ছে। পদ্মা সেতু এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরে দাড়াবার একটি দৃষ্টান্ত। এখন বিমানবন্দর জরুরি, ইকোনোমিক জোন দরকার। খুলনা-ঢাকা সড়ক চার লেনে উন্নতি করা একান্ত প্রয়োজন।
॥ শেখ মোহাম্মাদ আলী ॥
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ মোহাম্মাদ আলী জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়। সবচেয়ে বড় পাওয়া আমাদের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন। যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য আশির্বাদ। শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হবে। ডেন্টাল কলেজ হবে, আমাদের যক্ষা হাসপাতালের কাজ চলতেছে। আমাদের কৃষি বিশ^বিদ্যালয় উপহার দিয়েছেন। খুলনাবাসির জন্য তার অবদান চিরদিন ও চিরকাল মনে রাখবেন।
॥ চেম্বার পরিচালক মো. সোহাগ দেওয়ান
সরকার ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে আন্তরিক ॥
সরকার ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে আন্তরিক ॥
ব্যবসায়ী বান্ধব সরকার। এই সরকার ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে আন্তরিক। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল উন্নয়নে সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছে। খুলনা বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার পরিচালক মো. সোহাগ দেওয়ান এমনই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে মোংলা বন্দর উন্নয়ন হয়েছে। এই বন্দরে এখন বিদেশী জাহাজ আসছে।রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে। মেট্রো রেল, বঙ্গবন্ধু ট্রানেল হয়েছে। খুলনা মোংলা রেল লাইন চালু হয়েছে।
পদ্মাসেতু চালু হওয়াতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন হয়েছে। এই সরকারের ১৫বছরে দেশ এখন উন্নয়নের স্বর্ণ যুগে পৌছিয়েছে। প্রধান মন্ত্রীর আন্তরিকতায় ডিজিটাল থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতম হয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনা বড় বাজার এখন সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। ক্রেতারা নিরাপদে পছন্দ করে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমনে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানাচ্ছেন অভিনন্দন।
॥ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ ॥
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা সাধারণ সম্পাদক ও খুমেকের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ জানান, কোভিড টিকাদানে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মানুষ টিকা নিতে সক্ষম হয়েছে। এটা পৃথিবির জন্য অনেক বড় কাভারেজ। যা বিশে^ পঞ্চম ও এশিয়ায় প্রথম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এ রেকর্ড একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেধা ও দূরদর্শি সিদ্ধান্তের কারণে সম্ভব হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে একাধিক প্রকল্প চলমান, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, খুমেক হাসপাতালে আধুনিকায়ন ও শয্যা বাড়ানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান।
॥ ডা. গাজী মিজানুর রহমান ॥
বিপিএইচসিডিওএ’র ও বিপিএমপিএ’র খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে ধারাবাহিকভাবে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি। সারাদেশের প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন এবং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঔধষসহ ভিন্ন ভিন্ন পদের ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রান্তিক জনগণের মধ্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে দশ হাজারেরও অধিক সংখ্যক যোগ্য ও দক্ষ সরকারি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।