শেখ আব্দুল হামিদ : সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতার অবসান ঘটিয়ে খুলনা জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট চারলেনে উন্নীত হয়েছে। বিভাগীয় শহর খুলনায় প্রবেশ করতে সড়কটি গুরুত্ব পেয়েছে বিশ^মানের। বন্ধু রাষ্ট্র ভারত থেকে ভোমরা স্থলবন্ধর হয়ে খুলনা শহরে প্রবেশ করতে সড়কটির কোন বিকল্প নেই। চার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১০০শ’ ৭০ কোটি টাকা। কোভিড-১৯, অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু হয়। সড়ক বিভাগ রাস্তাটির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়ায় কাজটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধানে শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সাথে সাথে এ সড়কের গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুন। খুলনা মহানগরীতে প্রবেশ দ্বার হিসেবে পরিচিত জিরোপয়েন্ট থেকে ময়লাপোতা মোড়। এদিকটা মাথায় রেখে সড়ক বিভাগ কাজের গুণগত মানের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখেছে।
খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা শহরাংশে ৪ কিলোমিটার ময়লাপোতা থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতের কাজ শেষের দিকে থাকায় ইতোমধ্যে যানচলাচলও বেড়েছে। সেই সাথে ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সাথে গুরুত্ব বেড়েছে ভোমরা স্থল বন্দরের। এ বন্দর দিয়েই ট্রাকসহ ভারী যানবাহন প্রবেশ করছে খুলনা জেলা শহরের ট্রাক স্টান্ডে। তাছাড়া রামপাল তাপ বিদূৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি মোংলা বন্দরের গুরুত্বও আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। খুলনা সড়ক বিভাগ বিষয়টি মাথায় রেখে সড়ক চারলেনে উন্নীত করে। সড়কের মাঝে থাকছে আইল্যান্ড। এখানে লাগান হবে বিভিন্ন জাতের দৃষ্টি নন্দন ফুল গাছ। জিরোপয়েন্ট থেকে ময়লাপোতা পর্যন্ত সড়ক হয়ে উঠবে নানা শোভায় শুশোভিত।
খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলি মো: মনিরুজ্জামান বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিটি সড়ক মহাসড়ক প্রশস্ত ও উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা ব্রিজ চালু হওয়ায় খুলনা অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক মহাসড়ক হয়ে উঠেছে অতিগুরুত্বপূর্ণ। সে কথা মাথায় রেখে দ্রুত উন্নয়ন কাজ এগিয় চলেছে। কোভিডের মত বৈশিক মহামারী থেকে মুক্ত থাকতে পারলে অবশ্যই এসব কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীতে প্রবেশ দ্বার হিসেবে খ্যাত এ সড়কের পাশেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্র ছাত্রীরা, শিক্ষক কর্মচারীসহ পথচারীরা যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ফুটওভার ব্রিজ ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে। রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ হলেই ফুট ওভার ব্রিজের কাজ শুরু করা যাবে। এছাড়া গল্লামারীতে ময়ূর নদের উপর নির্মাণ হবে দৃষ্টি নন্দন সেতু।