
জন্মভূমি রিপোর্ট
ঈদ বাজারে অর্গানজা নামের এই থ্রিপিচই খুলনার তরুণীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। বেনারশি সিল্কের কামিজের সঙ্গে টিস্যু মিহি কাপড়ের ওড়না। আবার মিহি কাপড়ের দুই পার্টের কামিজের সঙ্গে টিস্যুর ওড়না দিয়ে তৈরি অর্গানজা। এছাড়া মেয়ে শিশুদের সারারা-গারারা আর ছেলে শিশুদের শার্ট-প্যান্ট বেশি চলছে। ছেলেদের জিন্সের সঙ্গে টি-শার্টের কদর বেশি।
এদিকে নতুন ডিজাইনের পাঞ্চাবীর জন্য আড়ং, অঞ্জনসসহ দেশী ফ্যাশান হাউজগুলোয় ভিড় করছেন ক্রেতারা।
গত কয়েকবছর ধরে চলে আসা লং গাউন, ভারী কাজের সুতির গাউন, শিফনের থ্রিপিস, পাকিস্তানি বারিশও চলছে ভালোই।
উচ্চবিত্তের নিউ মার্কেট ও মধ্যবিত্তের শপিং কমপেক্স ঘুরে ঈদ বাজারে এই পোশাকেরই আধিপত্য দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে নানা রকম পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন পোশাক উঠেছে সব দোকানেই। বেশিরভাগ দোকানে ক্রেতা কম। অনেকে দোকানের কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।
নিউ মার্কেটের খুলনা এন্টারপ্রাইজের সত্ত¡াধিকারী সেলিম তারিক জানান, টিস্যু ও মসলিন কাপড়ের অর্গানজাই এবার বেশি চলছে। এর সঙ্গে শিফনের কামিজ, পাথরের ও অ্যামব্রোডারি কাজের লং কামিজের বিক্রিও ভালো। অর্গানজা আড়াই হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা, হাতের ও মেশিনের অ্যামব্রোডারি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা, শিফনের থ্রিপিস ৩ থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিসমিল্লাহ ফেব্রিক্সের আবুল হাসান জানান, এবার টিস্যু ও সিল্কের অর্গানজা বেশি চলছে। মোট বিক্রির ৭০ ভাগই বিক্রি হয়েছে অর্গানজা থ্রিপিচ। এরপর রয়েছে সুতির গাউন ও পাকিস্তানি বিভিন্ন ডিজাউনের থ্রিপিচ।
বিক্রেতা আমিন হোসেন মিঠু বলেন, অর্গানজা বেশ কয়েকরকম আছে। এর মধ্যে বেনারশ সিল্ক ও টিস্যুর ওড়নাই বেশি চলছে। এছাড়া কাতান, পাকিস্তানি বারিশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, যাদের টাকা আছে তারা অনলাইনে কেনাকাটা করছেন। আর মধ্যবিত্তের অবস্থা তো খুব খারাপ। এজন্য বিক্রি কম মনে হচ্ছে।
ঈদ বাজারে ছেলেদের চাপ বেশি নগরীর শিববাড়ি কেন্দ্রিক ব্রান্ডের শো-রুমগুলোতে। সেখানে ছেলেদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক এসেছে। ছেলেদের শাট ও টি-শার্ট চলছে বেশি, সঙ্গে জিনস। এছাড়া গতবারের স্টেট প্যান্টও এবার চলছে ভালোই।