জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন নাজিরঘাট এলাকার নিরালা তাবলীগ (মার্কাজ) মসজিদে জুবায়ের পন্থীরা গত কয়েক বছরের প্রথা ভেঙ্গে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করছেন। ২০১৯ সাল থেকে চলে আসা নিয়ম অনুয়ায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত তারা মসজিদে অবস্থান করে ধর্মীয় কাজ করেন। সপ্তাহের অন্য দিন গুলোতে সাদ পন্থীরা সেখানে অবস্থান গ্রহণ করেন। কিন্তু এবার জুবায়ের পন্থীরা ২৭ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের কারণে গতকাল সকালে সাদ পন্থীরা মসজিদে প্রবেশ করে দ্বীন-ই কাজ করতে পারেননি। তখন ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলসহ আশ-পাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সাদ পন্থীরা মসজিদ সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিলে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে কেএমপি’র বিশেষ শাখার একটি সূত্র উভয় পক্ষের মধ্যে অপ্রিতীকর ঘটনার শঙ্কা করছিলেন।
সূত্রটি দৈনিক জন্মভূমি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মসজিদে জুবায়ের পন্থীদের আট শতাধিক তাবলিক কর্মী মসজিদে অবস্থান করছিলেন। এশার নামাজের পর তাদের বেশিরভাগ লোক মসজিদ ত্যাগ করবে বলে সিটিএসবি’র কাছে গোপন খবর ছিল। অন্যদিকে, সাদ পন্থী তিন থেকে সাড়ে ৩শ’ মুসল্লি কবরখানা মসজিদ, নাজিরঘাট মসজিদসহ নিরালা তাবলীগ মসজিদ সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করছিলেন। যদিও সন্ধ্যা পৌনে সাত টার দিকে তারা আস্তে-আস্তে ঘটনাস্থল ত্যাগ করছিলেন। তখন সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সেনা সদস্যরা সন্ধ্যা ৬ টার দিকে অকুস্থল ত্যাগ করেন। দুই পক্ষের কারো কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র, ধাঁরালো অস্ত্র. এমনকি লাঠি-সোটাও ছিল না বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম সন্ধ্যা ৭ টার দিকে দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির সদস্যরা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করেন। ডিসি (সাউথ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু, এডিসি হুমায়ন কবীরসহ কেএমপি’র বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন, বিকেল সাড়ে ৪ টার পরে তারা ওই এলাকা ছেড়ে যান।
এ রিপোর্ট লেখাকালে নিরালা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশের ২৭ জনের এক প্লাটুন সদস্য দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে (ওসি) দাবি করেন। এশার নামাজের পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছিল।
খুলনার নিরালা তাবলীগ মসজিদকে ঘিরে দু’ পক্ষ মুখোমুখি
Leave a comment