বিজ্ঞপ্তি : ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি শানিবার খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এজন্য দিন-রাত দৌড়ঝাঁপ করছেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির হাফ ডজন নেতাসহ বিভাগের সিনিয়র নেতারা। বিভাগের অধিকাংশ শীর্ষ নেতারা কারাগারে বন্দি থাকলেও খুলনায় অবস্থানরত কেন্দ্রীয় নেতারা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ঘটিয়ে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দিতে চায়। এটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন জোরদারের কৌশল। বিভাগীয় সমাবেশ থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায়ে সরকারকে আলটিমেটাম দেবে।
দলীয় সূত্র জানায়, ৪ ফেব্রুয়ারির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকল স্তরে বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজ-নিজ অবস্থান থেকে প্রস্তুতি জোরদার করছে। এ জন্য দলটির সর্বস্তরে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪টি উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র নেতারাও সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সমাবেশ করার জন্য নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্ত্বর অথবা হাদিস পার্ক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে সিটি কর্পোরেশনের কাছে চিঠি দিয়েছেন বিএনপি। একই সাথে কেএমপি কমিশনারকে অবহিত করেছেন। সমাবেশে আসার পথে নেতাকর্মীরা যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হন সে জন্য পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন। বুধবার দুপুর পর্যন্ত সমাবেশের স্থানের ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান বলেন, চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। আন্দোলনে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। বিএনপির কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ছে। হামলা হলে পাল্টা হামলার মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে। ৪ ফেব্রুয়ারির সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে তিনি জানান।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপির সমাবেশের অনুমতি চেয়ে কেসিসি ও কেএমপিকে চিঠি দিয়েছি। সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসতে যাতে বাধা দেওয়া না হয় সে বিষয়ে কেএমপি কমিশনারকে জানিয়েছি। আমরা বলেছি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ হবে, কোনো ধরনের বিশৃংখলা হবে না।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলাল জানান, খুলনার সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ করতে চাই। আমরা চাই না এই সমাবেশের আগে সরকার বা আওয়ামী লীগ বাধা সৃষ্টি করুক বা কোনো ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করুক।
রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জুলাই মাস থেকেই ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করে বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এই পর্যন্ত চলমান যুগপৎ আন্দোলনের চার দফা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ৫ম দফায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের বিভাগীয় সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।