
বিজ্ঞপ্তি : বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর একশ্রেনির পুলিশ অন্তহীন অত্যাচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পুলিশকে যেন দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ণ চালানোর লাইসেন্স দিয়েছে সরকার। খুলনায় পুলিশের তান্ডব ও নৈরাজ্য মানুষকে গ্রাস করে রেখেছে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মনে পুলিশী জুলুমের বিভিষিকাময় আতঙ্ক ভর করে আছে। মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির রুবেল, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি জাকির শেখ, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আহসান হাবিব বাবু, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শেখ জাকির হোসেনকে মামলা ছাড়াই গ্রেফতার পুলিশী অত্যাচারের বহি:প্রকাশ।
শুক্রবার মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ গত কয়েকদিন ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে-বাড়িতে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে পুলিশী অভিযানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে বলেন, পবিত্র রমজান মাস সিওম সাধনা-ইবাদত বন্দেগীর মাসেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন থেমে নেই। গ্রেফতার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা তারাবারি নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে পারছেন না। সারাদিন রোজা রেখে পরিবার পরিজনদের সাথে ইফতারি করতে পারছেন না। নেতাকর্মীদের জন্য কারাগারও নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বলেন, গায়েবী মামলায় কারাগারে বন্দী মহানগর বিএনপি নেতা গাজী আফসার উদ্দিনকে পুলিশের ওপর কথিত হামলার অভিযোগে খুলনা থানায় দায়েরকৃত মামলায় আসামী করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির রুবেল যে মামলায় জামিনে আছেন-সেই মামলায় আবারো তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে হরিনটানা থানা পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেছে। একদিন আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে খুলনা আসা মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইস্তিকে কোন মামলা ছাড়াই শুক্রবার গ্রেফতার করেছে খুলনা থানা পুলিশ। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। বিবৃতিদাতারা হলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ।