শেখ আব্দুল হামিদ : খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। শেষ দিনে খুলনা-১, খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনের যাচাই-বাছাই শেষে আরো ৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এ নিয়ে ৬টি আসনে ২৪ জনের মনোনয়ন বাতিল হলো। মোট ৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে বৈধতা পেয়েছেন ২৯ জন। খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন গতকাল যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন।
নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বৈধ্যতা অর্জন করেছেন-
খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল, গোবিন্দ্র চন্দ্র প্রামানিক (তৃণমূল বিএনপি), কাজী হাসানুর রশিদ (জাতীয় পার্টি)।
খুলনা-২ (মেট্রোপলিটন সদর, সোনাডাঙ্গা, হরিণটানা, লবণচরা থানা) আসনে সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ), ফরিদা পারভীন (জাকের পার্টী) দেবদাস সরকার (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো: গাউছুল আজম (জাতীয় পার্টী), বাবু কুমার রায় (মুক্তিজোট), মো: আব্দুল্লাহ আল আমীন (বিএনএম), মো: সাঈদুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী থানা) আসনে এসএম কামাল হোসেন (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ), এসএম সাব্বির হোসেন (জাকের পার্টী), মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন (জাতীয় পার্টী)।
খুলনা-৪ আসনে (রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা) আব্দুস সালাম মুর্শেদী (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), ফরহাদ আহমেদ (জাতীয় পার্টী), শেখ হাবিবুর রহমান (তৃণমূল বিএনপি), এসএম আজমল হোসেন (বিএনএম), রিয়াজুদ্দিন খান (ইসলামি ঐক্যজোট), শেখ আনসার আলী (জাকের পার্টী) ও মোস্তাফিজুর রহমান (ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি)।
খুলনা-৫ আসন (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) থেকে- নারায়ন চন্দ্র চন্দ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), সামাদ শেখ (জাকের পার্টী) ও শেখ সেলিম আকতার (বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টী)।
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে নির্বাচন করার বৈধতা পেলেন ৬ জন। তারা হলেন, মো: রশীদুজ্জামান (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), শেখ মোর্তুজা আল মামুন (জাকের পার্টী), মো: আবু সুফিয়ান (ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি (এনপিপি), এসএম নেওয়াজ মোর্শেদ (বালাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), গাজী নাদীর উদ্দিন খান (তৃনমূল বিএনপি) ও মো: অহিদুজ্জামান মোড়ল (স্বতন্ত্র)। এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করে ছিলেন মোট ১২ জন।
এদিকে ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিলকরে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসীর আরেফিন। তিনি বলেন, বেশিরভাগ মনোনয়ন বাতিল হয়েছে সতন্ত্র প্রার্থীদের। তার কারণ, সতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের সাক্ষর বাধ্যতামূলক। আমরা প্রার্থীর দেওয়া এই স্বাক্ষর থেকে র্যানডমলি ১০জনকে ফোন করেছি। যাদের অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এছাড়া ঋণখেলাপীর কারণে কয়েকজনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে:
খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) এ আসনে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, বিদ্যুৎবিল বকেয়া থাকায় জাকের পার্টির মো. আজিজুর রহমান, সমর্থনকারীদের জাল স্বাক্ষর ও ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়, সমর্থকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবেদ আলী।
খুলনা-২ (মেট্রোপলিটন সদর-সোনাডাঙ্গা থানা-হরিণটা ও লবণচরা থানা) আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিদায়েতুল্লাহ’র মনোনয়ন বাতিল হয় এবং গণতন্ত্রী পার্টির মো. মতিয়ার রহমান।
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা) আসনের সমর্থনকারীদের জাল স্বাক্ষর থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
খুলনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা, আতিকুর রহমান, রেজভী আলম, এইচ এম রওশন জামির ও মোর্ত্তজা রশিদী দারা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমানের।
খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল ও জাতীয় পার্টির শাহীদ আলম।
খুলনা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, গাজী মোস্তফা কামাল, অহিদুজ্জামান মোড়ল, জি এম মাহবুবুল আলম ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, খুলনার ৬টি আসনে ৫৩জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এ ছাড়া একজনের মনোনয়নপত্র অপেক্ষমান রাখা হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত