
জন্মভূমি রিপোর্ট
ঈদ মানে নতুনত্ব। ঈদ মানে বাড়তি আনন্দ উৎসব। আবির মাখা রং। নতুন পোষাকে নিজেকে সাজিয়ে রাখা। ঈদে নতুন শাড়ি ও পাঞ্জাবী ছাড়া ঈদই বেমানান। বাজারে আসছে বিভিন্ন স্টাইলের পাঞ্জাবী। এতে ফুটে উঠছে ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্য। খুলনায় ঈদের বাজারে ভিড় কম। সবার নজর কোরবানির পশুর হাটের দিকে। পশু ক্রয় বড় একটা অংক বরাদ্দ থাকে। বিভিন্ন বিপণী বিতানে ভিড় কম। তবে মসলার বাজারে বেজায় ভিড় দেখা গেছে।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় নতুন কোন কালেকশন নেই। দোকানের থরে থরে সাজানো রয়েছে হাতের কাজ করা ও এমব্রয়ডরি বিভিন্ন নকশা করা পাঞ্জাবী। রমনীদের জন্য ঝলকের ইউনিটেক সুতী শাড়ি। দেশীয় সুতীর এই শাড়িতে রয়েছে নানা রকম বৈচিত্র। গত দু’বছর করোন সংক্রমনের কারণে ব্যবসায়ীরা অনেকটা লোকসান গুনছেন। সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও ক্রেতা কম।
নগরীর নিউ মার্কেট, আড়ং, জলিল টাওয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণী বিতান, রেলওয়ে বিপণী বিতান, এস এম রব শপিং কমপ্লেক্স, নান্নু সুপার মার্কেট, মানিক মিয়া শপিং কমপ্লেক্স, হ্যানিম্যান মার্কেট, হযরত শাহ জালাল শপিং মহল, বড় বাজার তুলাপট্টি, এম রহমান চেম্বার, ঠাকুরবাড়ি গলি, আখতার চেম্বার, এশা চেম্বার, হাজি মালেক চেম্বার, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, খুলনা বিপণী কেন্দ্র, মশিউর রহমান বিপণী বিতান, বড় বাজার কাপুড়িয়া পট্টিসহ বিভিন্ন শো রুমগুলো সেজেছে নবরূপে। এসব বিপণী বিতানের দোকনগুলোতে রয়েছে রকমারী পণ্যসামগ্রী। সাজানো গোছানো ও পরিপাটি। দেশীয় পাঞ্জাবীর কদর একটু বেশী। দেশীয় পাঞ্জাবীর চাহিদাও রয়েছে। ভারতীয় কাপড়ের এই দেশে তৈরী আশিকের শর্ট ও রঙিন’র চাহিদা বেশী। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম হাতের নাগালে আর ক্রেতারা বলছেন উল্টো। বিপণী বিতানগুলো ভিড় কম। বিপণী বিতানগুলোতে নারীদের ভিড় একটু বেশী। রেডিমেট দোকানে কিছুটা ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিক্রি ভালো না। তুলনা মূলক ভাবে বিক্রি কম। শিশুদের পোষাক বিক্রি একটু বেশী হচ্ছে।
সোনাডাঙ্গা থেকে আগত মো. কামরুজ্জামান বলেন, কয়েকাটা দোকান ঘুরে পছন্দ করে পাঞ্জাবী কেনা হয়েছে। একই পণ্য বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকমের দাম হাকছেন। করোনার ক্ষতি এই ঈদ বাজার দিয়ে পুষিয়ে নিবে ব্যবসায়ীরা। গল্লামরী থেকে আগত শিউলী আখতার বলেন, দাম যাই হোক কিনতে হবে। তিনি তার শিশুর জন্য পোষাক ক্রয় করেছেন। তবে খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেটে কসমেটিকসের দোকানে সব চেয়ে বেশী ভিড় দেখা গেছে।
বড় বাজার তুলাপট্টি রোড়ের নিউ মদিনা গার্মেন্টস’র সত্ত¡াধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিক্রি বেশ ভালো না। পশু ক্রয়ের জন্য বড় একটা বরাদ্দ থাকে। তাই সবার নজর এখন পশুর হাটে।
হযরত শাহজালাল শপিং কমপ্লেক্সের মিজান শাড়ি হাউজের সত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিক্রি মোটা মুটি। ঈদের দু’দিন বাকি। তার দোকানে রকমারী পছন্দের পণ্য রয়েছে। দামও নাগালের মধ্যে। আরো একটু বিক্রি বাড়তে পারে।