জন্মভূমি রিপোর্ট
গত ২৪ ঘন্টায় খুলনার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৩৮৭টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯ জন। চলতি জুন মাসের ১৯ দিনে মোট মৃত্যু হলো ৫৬ জনের। আক্রান্ত হলেন ২ হাজার ৬৭১ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গতকাল পর্যন্ত রেডজোনে ভর্তি আছেন ৯৫ জন, ইয়োলোজোনে ২১ জন, আইসিইউতে রয়েছেন ১৯ জন, এইচডিইউতে ২০ জনসহ মোট ১৫৫ জন। এপর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হলেন ১২ হাজার ৬০১ জন আর মোট মৃত্যু হয়েছে ২২৫ জনের।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন যশোর জেলার কেশবপুরের মিজানুর রহমান (৫৮), সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সাহাদুল (৫১), মহেশ^রপাশাার আবুল হোসেন (৬০), কেশবপুরের আলেয়া বেগম (৬০), মঠবাড়িয়ার মিনারা বেগম (৫৫), খুলনা সদরের লবণচরা এলাকার শাহাজাহান (৪৯) ও সাতক্ষীরার কলারোয়া এলাকার আব্বাস গাজী (৬২)। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়।
অন্যএকটি সূত্র থেকে জানাগেছে বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯ জুন ১২ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে নড়াইল জেলার লক্ষীপাশা এলাকার পারভিন আক্তার (৩৭), খুলনা সদরের সোনাডাঙ্গা এলাকার সেলিনা বেগম (৫২) এবং যশোর সদর এলকার রোজিনা বেগম (৬০)।
এপর্যন্ত খুলনার দাকোপ উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, বটিয়াঘাটায় ৫ জনের, রূপসায় ১৮ জনের, তেরখাদায় ৩ জনের, দিঘলিয়ায় ৪ জনের, ফুলতলায় ৬ জনের, ডুমুরিয়ায় ৩ জনের, পাইকগাছায় ৭ জনের ও কয়রা উপজেলায় ৬ জনের। এ ছাড়া খুলনা সিটিতে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জনের।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি না পেলে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে কিছু সচেতন মানুষ ছাড়া প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না। তারা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ঝুঁকি বাড়িয়ে চলেছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত