হারুন-অর-রশীদ
খুলনায় দুধ মাংস ও ডিম উৎপাদনে আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে এর কোন বিকল্প নেই। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশী হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। জেলায় ২৩৩১টি ডেয়ারী ফার্ম রয়েছে। এ থেকে প্রতিদিন ৫হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। খুলনার চাহিদা মিটিয়ে বাইবের জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। খামারীদের বাঁচিয়ে রাখতে সরকার ১১কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, গেল অর্থ বছরে (২০২০-২১) খুলনায় দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্টিক টন। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৭ মেট্টিক টন। বেশী উৎপাদন হয়েছে ৯ হাজার ৭৪৬ মেট্টিক টন। মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১লাখ ১৫ হাজার মেট্টিক টন। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৬৯ মেট্টিক টন। বেশী উৎপাদন উৎপাদন হয়েছে ১৯ হাজার ২৬৯ মেট্টিক টন এবং ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৩শ’ লাখ। উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৪ লাখ। বেশী উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৪৪ লাখ।
উৎপাদিত দুধ মাংস ও ডিম খুলনার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় সরবরাহ করা হয়। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সে জন্য খুলনায় সরকারি ভাবে ১০টি গাড়ি দেয়া হয়েছে। ওই গাড়িতে করে হাট বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় দুধ মাংস ও ডিম নেয়া হয় বিক্রির জন্য। প্রতিটি গাড়িতে মুমমেন্ট পাশ ছিল। যাতে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে। এ জন্য জেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করছেন। খামারীরা জানান, খুরা রোগের কারণে একটু দুধ উৎপাদন কম হয়ে থাকে। পরে আবার গাভী সুস্থ হলে ঠিক হয়ে যায়। খুলনা উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও অর্জন বেশী।
জেলায় ১০হাজার খামারীকে বিকাশের মাধ্যমে ১১ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে । তাদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই প্রনোদনা দেয়া হয়। ১৫টি ক্যাটাগরীতে জন প্রতি ৩৭৫০টাকা থেকে ২২হাজার টাকা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, মানুষের প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে দুধ মাংস ও ডিম। এই ৩টি পণ্যই পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। আমিষের জোগান দিচ্ছে পোল্ট্রি শিল্প। এই শিল্পের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠছে চাইনিজ, মিনি চাইনিজ, ফাষ্ট ফুডের দোকান ও ফাষ্টকোর্ড। বেধা বিকাশে দুধ, মাংস ও ডিম অন্যতম। খামারে উৎপাদিত দুধ বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামে বিক্রি হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রন্জীতা চক্রবর্ত্তী বলেন, খামারীদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। খামারে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হয়ে থাকে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যাছাই বাছাই করে প্রান্তিক খামারীদের করোনা কালিন প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। একারণে দুধ মাংস ও ডিম উৎপাদনে খুলনায় সাফল্য এসেছে। উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও অর্জন বেশী।

