হারুন-অর-রশীদ : পতিত জমি আবাদ করায় ফসল উৎপাদন বাড়বে। খাদ্য সংকট কমবে। ফলে বৈশি^ক সংকটের মধ্যেও ভোগান্তি কমবে। প্রতি ইঞ্চি পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। আবাদ হলে খাদ্য সংকট হবেনা। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশকে কাজে লাগিয়ে খুলনা অঞ্চলের ৪জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জুট মিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৯০২৯.৫হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। এই জমিতে ৮টি ফসল আবাদ করা হচ্ছে। ইতো মধ্যে আবাদ করা হয়েছে ৪৪৭৬.৩হেক্টর।
সূত্র জানিয়েছে, আবাদকৃত জমির মধ্যে রয়েছে এটিআই কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, হটিকালচার সেন্টার, সীড স্টোর, এসএএও আবাসিক ভবন, জুট মিল, রেলওয়ে এলাকা, ব্যক্তি মালিকানা, পানিতে নিমিজ্জিত কচুরীপানা যুক্ত নিচু জমি, বসতবাড়ির অনাবাদি জমি, উপকূলীয় জেলায় আবাদযোগ্য পতিত জমি, বিরোধপূর্ণ জমি ও অন্যান্য জমি।
আবাদযোগ্য পতিত জমির মধ্যে রয়েছে খুলনা জেলায় ১০৯৭৫ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ১৪২৭.৫ হেক্টর। বাগেরহাটে ৩৮৮০ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ২৩৬৮.৬ হেক্টর। সাতক্ষীরায় ৩৪৯৪.৫ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৪৬২.৬৩ হেক্টর এবং নড়াইলে ৬৮০ হেক্টর ও আবাদ করা হয়েছে ২১৭.৬৩ হেক্টর।
এই পতিত জমিতে তৈরী করা আপদকালীন বীজতলা, ফল বাগান, সরিষা, সবজি. সূর্যমুখী, গোল আলু ও মিষ্টি আলু। আবাদের আওতাভূক্ত করতে করণীয় কৌশল হচ্ছে কৃষকদের মোটিভেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ। মৌসুম ভিত্তিক সবজি ফসলের আবাদ করা এবং বিনামূলে সবজি ও ফলের চারা বিতরণের ব্যবস্থা করা।
বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন বিজেএমসি সুত্র জানায়, তাদের অধিনে ৯টি জুট মিলের অধিনে ২০ একর পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশী জেজেআই জুট মিলে ৮ একর জমি চাষের আওতায় অনা হয়েছে। স্টার জুট মিল ৪ একর, আলিম জুট মিলস ১ একর, ক্রিসেন্ট ২ একর, খালিশপুর জুট মিলস ২ একর, প্লাটিনাম জুট মিল ও দৌলতপুর জুট মিলস ২৫শতাংশ করে ৫০ শতাংশ, ইস্টার্ণ জুট মিলস ২০ শতাংশ এবং আলিম জুট মিলস ২ একর ৫০ শতাংশ পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
পতিত জমিতে ৮প্রকারের সবজি আবাদ করা হয়েছে। সরিষার বীজে ৪০-৪৪ শতাংশ তেল থাকে। প্রতি হেক্টরে ৩৫-৪৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব। সারিষা ও সূর্যমুখী উৎপাদনে তেল আমদানী নির্ভরতা কমবে।
বিজেএমসি’র আঞ্চলিক সমন্বয়ক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবেনা। সেই নির্দেশ মোতাবেক জুট মিলসগুলোর ২০একর পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। তেলবীজ চাষে সরকারের আমদনী নির্ভরতা কমবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে। মিলগুলোতে সরকারী প্রণোদনা ও কারিগরী সহায়তা দেয়া হয়েছে। তিনি পতিত জমিতে তেলবীজ আবাদ হলে নিজেদের চাহিদা পূরণ হবে।