সরকারের প্রণোদনায় পতিত জমিতে ফলেছে সোনা
হারুন-অর-রশীদ : খুলনা কৃষি অঞ্চলে শষ্য ভান্ডারে ভরপুর। সরকারের প্রণোদনায় পতিত জমি আবাদ করে কৃষক সোনা ফলিয়েছে। ঘটেছে কৃষি বিপ্লব। এতে অনেকটা সরকারের আমদানী নির্ভরতা কমবে। সরকারের প্রণোদনা ও ভর্তুকির ফলে ঘটছে কৃষি বিপ্লব।
সূত্র জানিয়েছে, নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদনকারী কর্মসূচি ২০২২-২৩ এর আওতায় রবি মৌসুমে এই ফসলের আবাদ করা হয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলা নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চল। এই কৃষি অঞ্চলের ৪জেলায় ২২৫ হেক্টরে মটর আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ২৫৮ মেট্টিকটন। বুট আবাদ করা হয়েছে নড়াইল জেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ১৭ মেট্টিকটন। গম আবাদ করা হয়েছে ৩৩৬৬ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ১০৫৭৮ মেট্টিটন। গোলআলু আবাদ করা হয়েছে ৩১২৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ৬২৫০৭ মেট্টিকটন। বিভিন্ন প্রকতার সবজি আবাদ করা হয়েছে ২৯১৬৬ হেক্টর জমি। উৎপাদন হয়েছে ৬৪৬৬৩৩ মেট্টিকটন। সরিষা আবাদ করা হয়েছে ২৬২৪৬ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ৩৩৩৩৫ মেট্টিকটন। মসুর ডাল আবাদ করা হয়েছে ৮০২৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ৯৮৬৪ মেট্টিকটন। মুগডাল আবাদ করা হয়েছে নড়াইলে ২৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ২৭ মেট্টিকটন। খেসারী ডাল আবাদ করা হয়েছে ১৮৩৫৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ২০৫৯০ মেট্টিকটন। মাস কলাই আবাদ করা হয়েছে ১৪৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ১৯৪ মেট্টিকটন। তিসি নড়াইলে আবাদ করা হয়েছে ৩৫ হেক্টর জমিতে এবং প্রতি হেক্টরে ১ মেট্টিকটন করে ৩৫ মেট্টিকটন উৎপাদন হয়েছে। এই ১০ প্রকার ফসল ইতো মধ্যে শতভাগ কর্তন সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্র আরো জানিয়েছেন, এই ৪ জেলায় ১২৬১২ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩৮২২০ মেট্টিকটন। বাঙ্গি আবাদ করা হয়েছে ২৯৭ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৮৮ মেট্টিকটন। সূর্যমুখী আবাদ করা হয়েছে ২৮৯৫ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১২২ মেট্টিকটন। রসুন আবাদ করা হয়েছে ৮৮৪.৫ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৮৪ মেট্টিক টন। মরিচ আবাদ করা হয়েছে ১২৪০ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪৫০ মেট্টিক টন। ধনিয়া আবাদ করা হয়েছে ১০৫৮ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১১৬ মেট্টিক টন। কালোজিরা নড়াইলে আবাদ করা হয়েছে ৫৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ মেট্টিক টন। পিঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে ১৭১৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭২৭৮ মেট্টিক টন। মিষ্টি আলু ৩২০ হেক্টর আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮৬০ মেট্টিক টন। চিনা বাদাম ৪৫৪.৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে ২০৫০ মেট্টিক টন। এই ১০ প্রকার ফসলের কর্তন কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে তেল জাতীয় শস্য উৎপাদন ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকরের প্রণোদনা ও ভর্তুকিতে ফসল উৎপাদনে বড় ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা হয়নি। কৃষক উৎসাহি হয়ে কৃষি কাজে এগিয়ে আসেন। তিনি পতিত জমি ফেলে না রেখে কৃষি উৎপাদনে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।