কাল থেকে কার্যকর
মার্কেট খোলা থাকবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত
ইজিবাইক চলবে অর্থেক যাত্রী নিয়ে
জন্মভূমি রিপোর্ট
করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের ঘোষণায় খুলনা মহানগর ও জেলাব্যাপী এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে বিকাল পাঁচটার পর কোন দোকান, শপিংমল, রেস্তোরা ইত্যাদি খোলা রাখা যাবে না। সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাহিরে বের হয়ে অযথা ঘোরাঘুরি করতে পারবে না। ইজিবাইক চলবে অর্ধেক এবং অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে। কাঁচাবাজার ও ঔষধের দোকান এই বিধিনিষেধ আওতামুক্ত থাকবে। এই বিধিনিষেধ আগামীকাল রবিবার ১৩ জুন থেকে কার্যকর হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে শুক্রবার তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। বক্তৃতা করেন, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি বাবুল রানা, পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান।
সভায় প্রধান অতিথি সিটি মেয়র বলেন, গত এক সপ্তাহ খুলনার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে কোন ফল পাওয়া যায়নি। সমগ্র জেলায় বিধিনিষেধ আরোপ ও তা বাস্তাবায়ন করতে হবে। তিনি রাস্তাঘাটে অযথা জটলা করে আড্ডা দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা পালনের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি আহবান জানান।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় খুলনা করোনা রোগীর চিকিৎসার শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হবে। সে ক্ষেত্রে সদর হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অতিসত্ত্বর যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় জানানো হয়, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ে একটি আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে সেখানে প্রতিদিন পাঁচশত রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। সভায় আরও জানানো হয় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গত সাতদিনে দুইশত ২৩টি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে তিন লাখ ৬২ হাজার পাঁচশত পয়তাল্লিশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এধরণের মোবাইলকোর্ট পরিচলনা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুন থেকে খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও জেলার রূপসা থানায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়। পাইকগাছা লকডাউন ও ফুলতলায় বিধি নিষেধ চলছে।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা না থাকায় নতুন রোগী ভর্তি করা হচ্ছেনা। শয্যা খালি হলে নতুন রোগী ভতি করা হবে। ১শ’ শয্যার এই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১২৯ জন। উল্লেখ্য, খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৯১ জন।