# ১৯ জেলায় একক প্রার্থী
জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার নগরজুড়ে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সভপতি পদে মোট তিন জন তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দেন। তারা হলেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ। জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক এসএম মোর্তুজা রশিদী দারা এবং বিএমএ জেলা সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম। এছাড়া ৯টি সদস্য পদের জন্য ৩৪ জন, সংরক্ষিত ৩টি পদে ১৫ জন তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
এদিকে মনোয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য গতকাল রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও তার আশে পাশের এলাকায় কৌতুহলী জনতার ভিড় ছিল লক্ষণীয়। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে তেমন কোন শোডাউন করতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদ বেলা ১টার দিকে তার মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ, কৃষক লীগ নেতা মানিকুজ্জামান অশোক, যুব মহিলা লীগের এ্যাড. সেলিনা আক্তার প্রিয়া প্রমুখ।
এর পরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক এসএম মের্তুজা রশিদী দারা মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সাবেক ছাত্রনেতা ও সংকৃতি কর্মী হুমায়ূন কবির ববি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এসএম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা ও শেখ ফজলুল কবীর বিকু উপস্থিত ছিলেন। উভয় প্রার্থী রিটার্ণিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিকাল পৌনে ৩টার দিকে বিএমএ জেলা সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলমের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোট গ্রহণ ১৭ অক্টোবর।
খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মাজহারুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, মোট ৯ টি ভোট কেন্দ্র্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ভোট কেন্দ্র্রে উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধি ও ৬ টি ইউনিয়নের ৮০ জন ভোটার, তেরখাদা শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ উপজেলা পরিষদ ও ৭ টি ইউনিয়নের ৮১ জন ভোটার, খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে কেসিসি ও রূপসা উপজেলার ১১০ জন ভোটার, বটিয়াঘাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯৪ জন ভোটার, ফুলতলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৫৫ জন ভোটার, ডুমুরিয়া শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের ১৮৫ জন ভোটার, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ভোট কেন্দ্রে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৪৬ জন ভোটার, কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯৪ জন ভোটার এবং চালনা বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিসহ ১৩৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
অন্যদিকে সারা দেশে ১৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জেলাগুলো হলো-গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁও, নারায়নগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ এবং সিলেট। নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।
খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩, সদস্য পদে ৪৯ জন প্রার্থী
Leave a comment