জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা-দাকোপ সড়কের বটিয়াঘাটা দারোগারভিটা এলাকায় সরকারি রাস্তার দুই পাশ জুড়ে ইট বালির ব্যবসা করছে স্বার্থেন্বেসী মহল। প্রতিদিন ব্যস্ততম এ সড়ক বন্ধ রেখে বড়-বড় ট্রাক থেকে বালি নামানো হয় রাস্তার সীমানা জুড়ে। খুলনা থেকে বটিয়াঘাটা-দাকোপগামী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন দীর্ঘ সময় আটকে রেখে বালি আনলোডের কারণে দিনে রাতে যাত্রী হয়রাণীর শেষ নেই। এ পথেই প্রশানের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি চলাচল করলেও বিষয়টি তাদের নজরে আসে না। বালি ভর্তি বড় আকারের ট্রাক দ্রুত চালিয়ে এসে রাস্তার পাশে হঠাৎ ঘুরিয়ে দেয়। এ কারণে দ্রুতগামী যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এভাবে সড়কটি ৩০-৪০ মিনিট আটকে রেখে বালি নামিয়ে তারপর রাস্তা খুলে দেয়। স্থানীয় প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে এ ভাবেই দিনের পর দিন চক্রটি বালির ব্যবসা করে আসলেও প্রশাসন নিরব। প্রতিদিন শতাধিক বালুবাহী ট্রাক বালু লোড-আনলোড করছে রাস্তা আটকে। রাস্তার পাশে স্তুূপ করে রাখা বালু একটু বাতাসেই পথচারীদের চোখে-মুখে প্রবেশ করে। যানবাহন দ্রুত গতিতে চলাচল করলে আচমকা বাতাসে ধুলা-বালু ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। উড়ে পড়ে আশপাশের দোকানেও। হাত দিয়ে নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। জনভোগান্তি সৃষ্টিকারী এসব অবৈধ বালু মহলগুলো বছরের পর বছর চলছে ক্ষমতার দাপটে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে বালু ভর্তি একটি ট্রাক দারোগাভিটা এলাকায় রাস্তা আটকে বালু আনলোড করার সময়ে ট্রাকটি বিকল হয়ে যায়। এসময় দুই দিকের শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। ফলে ভোগান্তীতে পড়ে যাত্রীরা। আর এই অবৈধ বালু ব্যবসার খেসারত দিচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। এছাড়াও ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ-তিনগুণ বালু ট্রাকে বহন করায় নানা স্থানে পাকা সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ এই ব্যবসার পরিধি।
বটিয়াঘাটার বাসিন্দা তরিকুল আলম বলেন, বালু ব্যবসায়ীরা বালুর ব্যবসা করায় কোন বাধা নেই। তবে সাধারণ পথচারীদের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা উচিত নয়। এভাবে রাস্তাজুড়ে বালু রাখা এবং ট্রাক রাস্তা জুড়ে দাড় করিয়ে লোড এবং আনলোড করার কারণে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালকরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এর ফলে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বালু ব্যবসায়ীদের সাথে এ বিষয় জানতে চাইলে, তারা নির্দি¦ধায় সমস্যার কথা অস্বীকার করেন। তারাও এ অঞ্চলের বাসিন্দা। তাদের সমস্যা হচ্ছে না বলে দাবী করেন। সামান্য সমস্যার কারণে ব্যবসা বন্ধ সম্ভব নয় বলেও জানান অনেকে। এ সম্পর্কে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলম বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি সমাধানে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।