জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগীর বাড়ি গ্রাম এলাকায়। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে গ্রামের ঝোপে-ঝাড়ে পড়ে থাকা পাত্রে পানি জমে জন্ম নিচ্ছে মশার লার্ভা। আর তা-থেকেই জন্ম হচ্ছে ডেঙ্গু মশার। গত সাত মাসে খুলনা বিভাগে মোট শনাক্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮৩৭ জন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় ১৬০ জনের দেহে ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হয়েছে। রোগীদের মধ্যে মাগুরা জেলায় সবচেয়ে বেশী শনাক্ত হয়েছে ৪১ জন। তার পরেই রয়েছে খুলনার অবস্থান। এসময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ জন। চলতি মাসে এ পর্যন্ত ছাড়পত্র প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৩ হাজার ১৯০ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোট ৫৬৯ জন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে ৭০ জনকে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশের বাড়ি গ্রাম এলাকায় বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিনই বৃষ্টি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। গ্রাম-গঞ্জের সর্বত্রই এখন শুধু মশা। সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এলাকায় ৬২ ফগার মেশিনেও দমন করতে পারছে না মশার উৎপাত। গ্রামে ওষুধ ছিটাবার কোন ব্যবস্থাই নেই। শহরের চেয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে এখন মশার দাপট বেশী। চিকিৎসকরা বলছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে বৃষ্টি কমে এলে মশার উপদ্রবও কমে আসবে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গ্রামের ঝোপে-ঝাড়ের মধ্যে পড়ে থাকে বিভিন্ন পাত্রে পানি জমে সেখানেই জন্ম হচ্ছে মশার লার্ভা। গ্রামের প্রায় প্রতিবাড়িতেই জ¦রে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
গত ২৪ ঘন্টায় খুলনায় শনাক্ত হয়েছে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী, মোট শনাক্ত ৭৪৬ জন, একই সময়ে বাগেরহাট জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৮ জন, মোট শনাক্ত ২৯১ জন। সাতক্ষীরায় ৬ জন, মোট ২৪৬ জন, যশোর ২১ জন, মোট ৬৫১ জন, ঝিনাইদহ ১৪ জন, ২৭১ জন, মাগুরায় ৪১ জন, মোট ৬৯২ জন, নড়াইল ১৩ জন, মোট ৪০৪ জন, কুষ্টিয়ায় ১৬ জন, মোট ৩৩৩ জন, মেহেরপুর জেলায় ১২ জন, মোট ১৪৭ জন, চুয়াডাঙ্গায় মোট ১ জন। মোট ৫৬ জন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, মোট ১২০ জন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জনসহ মোট ৫৮৫ জন।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ভয়াবহ আকারে বাড়ছে। প্রতি সপ্তায় একহাজারের বিশী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বৃষ্টি যেমন বেড়েছে তেমনি মশাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মাসেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা গত মাসের চেয়ে প্রায় তিনগুন হতে পারে। এখন গ্রামের রোগী বেশী আসছে। তবে আগামী মাস থেকে আশা করা যাচ্ছে বৃষ্টি কমে এলে এবং কয়েকদিন রোদ হলে মশার বংস বিস্তার কমে আসবে। তখন ডেঙ্গু শনাক্তের সংখ্যাও কমবে। সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত