হারুন-অর-রশীদ
আগামী মাসে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ৩দিন ব্যাপী চলবে এই উৎসব। কোরবানির পশু বিকিকিনির জন্য খুলনা বিভাগের ১৫৪টি হাটের অনুমোদন মিলছে। নিরাপদ মাংস উৎপাদনে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্টকরণ ১লাখ ৮হাজার ২২৭টি খামারে কোরবানির জন্য ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪২১টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমেও চলছে পশু বেচাকেনা। ইতোমধ্যে খামারে শুরু হয়েছে বিকিকিনি।
বিভাগের ১০ জেলার ৫৯ উপজেলা ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জোড়াগেট পশুরহাট ১২০টি মেডিকেল টিম পশুর স্বাস্থ সুরক্ষায় কাজ করবেন। বাজারগুলো প্রস্তুত করার কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তহ থেকে শুরু হবে এবং চলবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় থাকবে জালনোট সনাক্তকরণ ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশু বেচা কেনা চলবে। সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জোড়াগেট বাজারে বসবে পশুর হাট। আগামী ৩ জুলাই রোববার থেকে শুরু হবে এই হাট। চলবে ঈদের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত।
সূত্র জানান, খুলনার ৯ উপজেলা ও কেসিসি’র জোড়াগেট এলাকায় সরকার অনুমোদিত হাট-বাজার রয়েছে ২৮টি। এখানে ৩৭টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলায় হাট রয়েছে ২৭টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ২৩টি। সাতক্ষীরা জেলায় ৭ উপজেলায় হাট রয়েছে ১৫টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ৭টি। যশোর জেলার ৮উপজেলায় হাট রয়েছে ১০টি। এখানে ৮টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। ঝিনেদা জেলায় ৬টি উপজেলায় হাট রয়েছে ২৪টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ১১টি। মাগুরা জেলায় ৪টি উপজেলায় ১৪টি হাট রয়েছে। মেডিকেল টিম রয়েছে ৯টি। নড়াইল জেলায় ৩টি উপজেলায় হাট রয়েছে ৯টি। এই জেলায় ৪টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। কুষ্টিয়া জেলায় ৬টি উপজেলায় হাট রয়েছে ১৫টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ১১টি। চুয়াডাঙ্গায় ৪টি উপজেলায় হাট রয়েছে ৬টি হাট রয়েছে। এখানে ৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে এবং মেহেরপুর জেলায় ৩টি উপজেলায় ৬টি হাট-বাজার রয়েছে। এখানে ৬টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। খামারে প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে রয়েছে ষাড়, বলদ, গাভী, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। খুলনা বিভাগে চাহিদার তুলনায় ৩৮শতাংশ পশু বেশী রয়েছে।
সূত্র আরো জানিয়েছেন, খুলনা জেলায় ৭৬১৪টি খামারে কোরবানি যোগ্যপশু রয়েছে ১১৯৫১৪টি। চাহিদা রয়েছে ৭৯২৩৮টি। বাগেরহাট জেলায় ৯১২৯টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১১৮৮১৩টি। চাহিদা রয়েছে ৫২৮০৩টি। সাতক্ষীরা জেলায় ৯৯৩০টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১০৮০০৫টি। চাহিদা রয়েছে ৬০৯০৭টি। যশোর জেলায় ৯৩২০টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১৪৩৯৮৩টি। চাহিদা রয়েছে ১৪৩৭২৫টি। ঝিনেদা জেলায় ২০০৪৮টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১৯৫৫২১টি। চাহিদা রয়েছে ১৩৬৫৩৩টি। মাগুরা জেলায় ৬০৮২টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ৭৮৮৪১টি। চাহিদা রয়েছে ২৯৩০৬টি। নড়াইল জেলায় ৪৭৯২টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ৬৪৭৪৮টি। চাহিদা রয়েছে ২৭২৮২টি। কুষ্টিয়া জেলায় ২৬৬৮৭টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১৭৯৭৪২টি। চাহিদা রয়েছে ১৪৫২০৮টি। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬১৭২টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১৫০৫৭২টি। চাহিদা রয়েছে ৮৭৭৯৬টি এবং মেহেরপুর জেলায় ৮৪৫৩টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ২৪০০৮২টি। চাহিদা রয়েছে ৯৪৮০৩টি।
কেসিসির বাজার সুপার মো. আব্দুল মাজেদ মোল্লা বলেন, জোড়াগেট বাজারে সিসি ক্যামেরার মধ্যে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। শতকরা ৫টাকা হাসিল আদায় করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে জালনোট সনাক্ত করণ ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনে পশু বেচা কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। বয়স্ক ও শিশুদের হাটে প্রবেশ নিষেধ রয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. সুখেন্দু শেখর গায়েন বলেন,খামারে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। প্রতিটি হাট-বাজারে মেডিকেল টিম কাজ করছে। এই বিভাগে পশু সংকট নেই। চাহিদার তুলনায় বেশী রয়েছে।