
শেখ আব্দুল হামিদ
খুলনা বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে ৩২৬ জনের দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আক্রান্তের দিক থেকে খুলনা জেলা রয়েছে শীর্ষে। গেল পহেলা জুলাই বিভাগের ১০ জেলায় মোট আক্রান্ত হয় ৪৩ জন আর গতকাল ২৪ ঘন্টায় পজেটিভ শনাক্ত হয় ৬৮ জনের দেহে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ট্রেন, বাস, মাইক্রো, প্রাইভেটকার যেভাবেই হোক মানুষ ছুটেছে আপন ঠিকানায়। দেশের বিভন্ন জেলায় করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষ চলছে উর্ধশ্বাসে। খুলনা বিভাগে বিভিন্ন হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধিও সাথে শনাক্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে খুলনায় প্রথম করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়। তারপর থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। একই সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যায়। এবছর জুলাই মাসে খুলনা জেলায় আক্রান্ত হয় ২ হাজার ৩১৭ জন। আর এসময়ে মৃত্যু হয় ৪৪ জনের। ২০২১ সালের জুলাই মাসে মোট আক্রান্ত হয় ৮ হাজার ২৪৬ জন আর মৃত্যু হয় ৪৩৬ জনের। তার পর থেকে ধিরে ধিরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকে।
চলতি বছর জুলাই মাসের সাত দিনে খুলনা জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৯১ জন। আর খুলনা বিভাগে মোট ৩২৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেলায় আক্রান্ত ১৩ জন, বাগেরহাট জেলায় ৬ জন, সাতক্ষীরায় ৩জন, যশোর জেলায় ৭ জন, নড়াইল ৫ জন, মাগুরায় ১ জন, ঝিনাইদহ জেলায় ১১ জন, কুষ্টিয়ায় ১০ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৫ জন ও মেহেরপুর জেলায় ৭ জন। গত ৬ জুন করো আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক জনের মৃত্যু হয। নিহত মঞ্জিরা (৬৮) এর বাড়ি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায়। এনিয়ে খুলনায় মোট ৮০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর খুলনা বিভাগে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৫১ জনের।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ইদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা থেকে বহু মানুষ এখন ঈদ করতে বাড়ি ফিরছেন। তারা যদি স্বাস্থ্যবিধির দিকে খেয়াল না রাখেন তবে ঈদের পর আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাবে যারা তিন ডোজ টিকা গ্রহন করেছেন তাদের মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটা কম। তিনি সকলকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেন।