
হারুন-অর-রশীদ
আগামী মাসে পবিত্র ঈদ-উল- আযহা। কোরবানিদাতারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পশু বিক্রির জন্য খামারীরা ২মাস আগে থেকে নিরাপদ গো-মাংস উৎপাদনে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্টকরণ (মোটাতাজা করণ) প্রক্রিয়া চলমান রেখেছেন। খামারিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১ লাখ ৮হাজার ২২৭টি খামারে ১৩ লাখ ৯৯হাজার ৮২১টি পশু রয়েছে কোরবানি যোগ্য। গত বছর এই বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৮ লাখ ৫৭হাজার ৬০১টি পশু। এ বছর বিভাগে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬০১টি পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় ৫ লাখ ৪২ হাজার ২২০টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। সে হিসেবে ৩৮শতাংশ পশু বেশী।
সূত্র জানিয়েছেন, খামারে পশুর মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। এর মধ্যে খুলনা জেলায় ৭৬১৪টি খামারে কোরবানি যোগ্যপশু রয়েছে ১১৯৫১৪টি। চাহিদা রয়েছে ৭৯২৩৮টি। উদ্বৃত রয়েছে ৪০২৭৬টি। বাগেরহাট জেলায় ৯১২৯টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১১৮৮১৩টি। চাহিদা রয়েছে ৫২৮০৩টি। উদ্বৃত রয়েছে ৬৬০১০টি। সাতক্ষীরা জেলায় ৯৯৩০টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১০৮০০৫টি। চাহিদা রয়েছে ৬০৯০৭টি। উদ্বৃত রয়েছে ৪৭০৯৮টি। যশোর জেলায় ৯৩২০টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১৪৩৯৮৩টি। চাহিদা রয়েছে ১৪৩৭২৫টি। উদ্বৃত রয়েছে ২৫৮টি। ঝিনেদা জেলায় ২০০৪৮টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১৯৫৫২১টি। চাহিদা রয়েছে ১৩৬৫৩৩টি। উদ্বৃত রয়েছে ৫৮৯৮৮টি। মাগুরা জেলায় ৬০৮২টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ৭৮৮৪১টি। চাহিদা রয়েছে ২৯৩০৬টি। উদ্বৃত রয়েছে ৪৯৫৩৫টি। নড়াইল জেলায় ৪৭৯২টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ৬৪৭৪৮টি। চাহিদা রয়েছে ২৭২৮২টি। উদ্বৃত রয়েছে ৩৭৪৬৬টি। কুষ্টিয়া জেলায় ২৬৬৮৭টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১৭৯৭৪২টি। চাহিদা রয়েছে ১৪৫২০৮টি। উদ্বৃত রয়েছে ৩৪৫৩৪টি। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬১৭২টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ১৫০৫৭২টি। চাহিদা রয়েছে ৮৭৭৯৬টি। উদ্বৃত রয়েছে ৬২৭৭৬টি এবং মেহেরপুর জেলায় ৮৪৫৩টি খামারে কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে ২৪০০৮২টি। চাহিদা রয়েছে ৯৪৮০৩টি। উদ্বৃত রয়েছে ১৪৫২৭৯টি।
সূত্র আরো জানায়, কোরবানি যোগ্য পশুর মধ্যে রয়েছে গরু ৪ লাখ ২হাজার ৫৫৩টি। মহিষ ৫ হাজার ৯১৬টি। ছাগল ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৩০৩টি ও ভেড়া ৩৬ হাজার ৩৮টি। খামারীরা জানিয়েছেন গো খাদ্যের মূল্য বাড়তি রয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. সুখেন্দু শেখর গায়েন বলেন,খামারে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। এ বছর যে পরিমানে পশুর চাহিদা সেটাই গত বছর জবাই করা হয়েছে। এই বিভাগে পশু সংকট নেই। চাহিদার তুলনায় বেশী রয়েছে।