জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা বিভাগে গত ১০ মাসে মোট শনাক্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৮১ জন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪০ জনের দেহে ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হয়েছে। রোগীদের মধ্যে ঝিনাইদহ জেলায় সবচেয়ে বেশী শনাক্ত হয়েছেন ৬৭ জন। তার পরেই রয়েছে খুলনার স্থান। এসময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ জন। গত দশ মাসে বিভাগে ছাড়পত্র প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা মোট ২৩ হাজার ১০০ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোট ১০৭৭ জন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে ৩১৮ জনকে।
প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ৬২ ফগার মেশিনে দমন করতে পারছে না মশার উৎপাত। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে মশার দাপট। মানুষ থেকে শুরু করে পশু-পাখী পর্যন্ত অতিষ্ট। চিকিৎসকরা বলছেন, আগামী নভেম্বর মাসের পর থেকে মশার উপদ্রব কমে আসবে। তখন ডেঙ্গুও কমে যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় খুলনায় শনাক্ত হয়েছে ৫৩ জন ডেঙ্গু রোগী, মোট শনাক্ত ৪৬৫১ জন, একই সময়ে বাগেরহাট জেলায় শনাক্ত হয়েছে ২৮ জন, মোট শনাক্ত ১৩৫২ জন। সাতক্ষীরায় ৫ জন, মোট ৫৯৮ জন, যশোর ৪২ জন, মোট ৩৫২৩ জন, ঝিনাইদহ ৬৭ জন, মোট ২৭৫২ জন, মাগুরায় ২২ জন, মোট ৩৯৯৪ জন, নড়াইল ২৩ জন, মোট ২১৮২ জন, কুষ্টিয়ায় ৫০ জন, মোট ২৮৯১ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৬, মোট ৫৭২ জন, মেহেরপুর জেলায় ৩১ জন, মোট ১৫০৩ জন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, মোট ৫৬৩ জন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২ জনসহ মোট ২৮৮৬ জন।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ভয়াবহ আকারে এখনও বাড়ছে। প্রতি সপ্তায় দুইহাজারেরও বিশী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বৃষ্টি কমে এলেও মশা কমেনি। এ মাসেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা গত মাসের চেয়ে প্রায় তিনগুন হতে পারে। তবে আগামী মাস থেকে আশা করা যাচ্ছে মশার বংস বিস্তার কমে আসবে। একই সাথে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কমে আসবে।