জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা বিভাগে গত আট মাস ২০ দিনে খুলনা বিভাগে মোট শনাক্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৫১৮ জন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় ৩১৯ জনের দেহে ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হয়েছে। রোগীদের মধ্যে খুলনা জেলায় সবচেয়ে বেশী শনাক্ত হয়েছেন ৬৬ জন। তার পরেই রয়েছে মাগুরার স্থন। এসময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। চলতি মাসে এ পর্যন্ত বিভাগে ছাড়পত্র প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা মোট ১০ হাজার ৩৫৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোট ৯৬৭ জন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে ১৬৭ জনকে।
প্রতিদিনই বৃষ্টি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ৬২ ফগার মেশিনে দমন করতে পারছে না মশার উৎপাত। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে মশার দাপট। মানুষ থেকে শুরু করে পশু-পাখী পর্যন্ত অতিষ্ঠ। চিকিৎসকরা বলছেন, আগামী অক্টোবর মাসের পর থেকে বৃষ্টি কমে এলে মশার উপদ্রবও কমে আসবে।
গত ২৪ ঘন্টায় খুলনায় শনাক্ত হয়েছে ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী, মোট শনাক্ত ২৯৩ জন, একই সময়ে বাগেরহাট জেলায় শনাক্ত হয়েছে ১৬ জন, মোট শনাক্ত ৭২৬ জন। সাতক্ষীরায় ১২ জন, মোট ৬১৬ জন, যশোর ৩৯ জন, মোট ১,৮৬২ জন, ঝিনাইদহ ৪১ জন, মোট ১,০৯৭ জন, মাগুরায় ৬১ জন, মোট ২,১৪৯ জন, নড়াইল ২৩ জন, মোট ১,১০৮ জন, কুষ্টিয়ায় ৪০ জন, মোট ১,০৮৬ জন, মেহেরপুর জেলায় ১৬ জন, মোট ৫৯৬ জন, চুয়াডাঙ্গায় মোট ৫ জন। মোট ২০০ জন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জন, মোট ২৯৭ জন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৪ জনসহ মোট ১,৪৩৮ জন।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ভয়াবহ আকারে বাড়ছে। প্রতি সপ্তায় দেড়হাজারেরও বিশী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বৃষ্টি যেমন বেড়েছে তেমনি মশাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মাসেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা গত মাসের চেয়ে প্রায় তিনগুন হতে পারে। তবে আগামী মাস থেকে আশা করা যাচ্ছে বৃষ্টি কমে এলে এবং কয়েকদিন রোদ হলে মশার বংস বিস্তার কমে আসবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত