
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা বিভাগে গত নয় মাসে মোট শনাক্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৪০৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছে মোট ৪৭ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৫২ জনের দেহে ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হয়েছে। রোগীদের মধ্যে যশোর জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৭৩ জন। তার পরেই রয়েছে খুলনার অবস্থান। এসময়ের মধ্যে খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ জন। আর এ পর্যন্ত বিভাগে মোট ছাড়পত্র প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৩৩ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোট ১০১৩ জন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে ২১৪ জনকে।
প্রতিদিনই বৃষ্টি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ৬২ ফগার মেশিনে দমন করতে পারছে না মশার উৎপাত। শহর থেকে সুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে মশার দাপট। অতিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে পশু-পাখী পর্যন্ত। চিকিৎসকরা বলছেন, চলতি অক্টোবর মাসের পর থেকে বৃষ্টি কমে এলে মশার উপদ্রবও কমে আসবে।
গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী, মোট শনাক্ত ২,৮৬৬ জন, একই সময়ে বাগেরহাট জেলায় শনাক্ত হয়েছে ১৪ জন, মোট শনাক্ত ৯৫০ জন। সাতক্ষীরায় ১৯ জন, মোট ৭৭৫ জন, যশোর ৩৭ জন, মোট ২,৩৬১ জন, ঝিনাইদহ ৭৩ জন, ১,৫৪২ জন, নড়াইল ১৭ জন, মোট ১,৪৪৯ জন, মাগুরায় ৭৩ জন, মোট ২,৭৮৪ জন, কুষ্টিয়ায় ৪৩ জন, মোট ১,৫৫১ জন, মেহেরপুর জেলায় ২৪ জন, মোট ৮২৬ জন, চুয়াডাঙ্গায় মোট ৩০৭ জন।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বৃষ্টি যেমন বেড়েছে তেমনি মশাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মাসেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। তবে আগামী মাস থেকে আশা করা যাচ্ছে বৃষ্টি কমে এলে এবং কয়েকদিন রোদ হলে মশার বংস বিস্তার কমে আসবে। তখন ডেঙ্গু শনাক্তের সংখ্যাও কমবে। মানুষদের আরও সচেতন হতে হবে।