
২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ১ জনের
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত তিন দিনে বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছলো ৪ জনে। আক্রান্তের দিক থেকে খুলনা এবং যশোর জেলা এগিয়ে রয়েছে। খুলনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২০ জন আর যশোরে ১৯৫ জন। যশোরের পরেই মাগুরায় ১৬১ জন। চলতি বছর জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে মোট রোগীর সংখ্যা ১০৭৪ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৮৮ জন আর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৬৪ জন রোগী।
গত ২১ জুলাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪১ জন। পরের দিন ২২ জুলাই রোগীর সংখ্যা হয় ৯১ জন আর গত কাল ২৩ জুলাই মোট আক্রান্ত হয় ১০২ জন। এদিনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেফালী (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। তার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায়। স্বামীর নাম আব্দুল বারেক। এ নিয়ে খুলনা বিভাগে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয় যশোর জেলায় এবং অন্য দু’জনের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
খুলনা জেলায় চলতি বছর মোট রোগীর সংখ্যা ৪৪ জন, বাগেরহাট জেলায় ৬৮ জন, সাতক্ষীরা জেলায় ৭২ জন, যশোর ১৯৫, ঝিনাইদহ, মাগুরায ১৬১ জন, নড়াইল ১৪৭, কুষ্টিয়ায় ৯৮জন, মেহেরপুর ১৩ জন ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২০ জন। তবে এপর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
নাগরীক নেতাদের দাবী মশা নিধনের জন্য নগরীতে উল্লেকযোগ্য কোন ব্যবস্থা আজও চোখে পড়েনি। ওলি-গলিতে মশার উপদ্রব আরও বেশী। সিটি কর্পোরেশন থেকে ফগার মেশিনের মাধ্যমে যে ওষুধ দেয়া হয় তাতেও মশা নির্মূলের কোন লক্ষণ নেই। প্রতিদিনই মশার উপদ্রব নগরীতে বাড়ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, খুলনা বিভাগের সর্বত্রই এখন মশার উপদ্রব। তবে শুধুমাত্র এডিস মশার কামড়েই ডেঙ্গু রোগ হতে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য এডিস মশা রোধ করা এবং এ মশা যেন কামড়াতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা। স্বাধারণত স্বচ্ছ ও পরিস্কার পানিতে এরা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত অথবা ড্রেনের পানিতে এরা ডিম পাড়ে না। বিভিন্ন পাত্রে পানি বেধে থাকা, ফুলের টবে জমে থাকা পানিসহ বিভিন্ন জায়গার পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা তাদের বংশ বিস্তার করে থাকে।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। মানুষ সচেতন না হলে আগামী মাসে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অতিরিক্ত গরম এবং বৃষ্টির কারণে এডিশ মশার বংস বিস্তার ঘটে থাকে। চলতি বছর যেমন গরম পড়েছে এবং পরবর্তীতে বৃষ্টি মশা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। এখন প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে মশা নিধনে। তাহলে এর উপদ্রব থেকে রেহাই মিলবে।