ধান সংগ্রহ হয়েছে ২৮১৩৬ মেট্রিকটন
চাল ১৭১৪১৭ মেট্রিকটন
হারুন-অর-রশীদ : খুলনা বিভাগে চলছে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ। ২০২৩ মৌসুমে বোরো ধান ও চাল ৭মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ৩১আগস্ট শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শত ভাগ পূরণ হয়নি। এই সময়ের মধ্যে ৮৩ শতাংশ চাল অর্জন হয়েছে। ১হাজার ৯৩২টি সরকারি গুদামে এই সংগ্রহীত ধান ও চাল সংরক্ষণ করা হবে। চলতি মৌসুমে ধান ৫১৬৮৪ মেট্রিকটন ও ৭৪৫টি মিল থেকে ২০৭৩৪৮ মেট্টিকটন ৯৫০ কেজি সিদ্ধ চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তি হলেও তা পূরণ হয়নি। ধান সংগ্রহ হয়েছে ২৮১৩৬ মেট্রিকটন ৯৬০ কেজি এবং চাল সংগ্রহ হয়েছে ১৭১৪১৭ মেট্রিকটন ৩১০ কেজি। শতভাগ পূরণ না হওয়ায় সরকার আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংগ্রহের মেয়াদ বাড়িয়েছে। খুলনা বিভাগে ৩১টি উপজেলায় ধান ও ৮টি উপজেলায় এ্যাপের মাধ্যমে চলছে সংগ্রহ। মিল মালিকরা শুধুমাত্র সিদ্ধ চাল সরবরাহ করবে। এজন্য সরকারের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে । সরকার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতিকেজি ধান ৩০ টাকা দরে এবং মিল মালিকদের কাছ থেকে ৪৪টাকা দরে চাল সংগ্রহ করছে। সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে তাদের উৎপাদিত ধান এবং বৈধ ও সচল চালকল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করবে। খোলা বাজারে দাম বেশী হওয়ার কারণে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়স্ত্রক দপ্তর সূত্র জানান, ৩১আগস্ট পর্যন্ত এ মৌসুমে খুলনা জেলায় চলতি অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১৬৩ মেট্রিকটন। সংগ্রহ হয়েছে ৪৪০৯ মেট্রিকটন ৮৮০ কেজি। সিদ্ধ চাল ৩২২৪৫ মেট্টিকটন ৯৯০কেজি। সংগ্রহ হয়েছে ২৫৪১১ মেট্রিকটন ৮৪০ কেজি।
বাগেরহাট জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৫০৫ মেট্রিকটন। সংগ্রহ হয়েছে ২৮৪৯ মেট্রিকটন ৯২০ কেজি। চাল ১০১৫২ মেট্রিকটন ৯৩০ কেজি। সংগ্রহ হয়েছে ৯৩৫৩ মেট্রিকটন ৯১০কেজি। সাতক্ষীরা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬১৯২ মেট্রিকটন। সংগ্রহ হয়েছে ১৮৭৪ মেট্রিকটন ২০০ কেজি। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৩৫০০ মেট্রিকটন ৭০কেজি। সংগ্রহ হয়েছে ১৭২১৬ মেট্রিকটন ৪৮০ কেজি। যশোর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৩৫৪০ মেট্রিকটন। সংগ্রহ হয়েছে ৪৫৭৩ মেট্রিকটন ৯৬০ কেজি। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮৪৩ মেট্রিকটন ৯০ কেজি। সংগ্রহ হয়েছে ৩৪৫১২ মেট্রিকটন ৭৭০ কেজি। ঝিনেদা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৮১১৪ মেট্রিকটন। সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৭৭১ মেট্রিকটন ২৮০কেজি। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৬৫৬১ মেট্রিকটন। সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫০৪৭ মেট্রিকটন ৩৪০ কেজি। মাগুরা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২১৮৬ মেট্রিকটন। সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫৮৮ মেট্রিকটন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫৭০০ মেট্রিকটন ৯৪০কেজি। সংগ্রহ হয়েছে ৪৮১৬ মেট্রিকটন ৪৪০ কেজি। নড়াইল জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৪২৪২ মেট্রিকটন। সংগ্রহ হয়েছে ৩২৩৭ মেট্রিকটন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫৮০৮ মেট্রিকটন ৯৬০ কেজি। সংগ্রহ হয়েছে ৫৪৪৪ মেট্রিকটন ৯৬০ কেজি। কুষ্টিয়া জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৮৯৮ মেট্রিকটন। সংগ্রহ হয়েছে ১১৫৮ মেট্রিকটন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৬১৮৪৩ মেট্রিকটন ৯৭০ কেজি। সংগ্রহ হয়েছে ৪৮৮১২ মেট্রিকটন ৫৭০ কেজি। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৬২৪ মেট্রিকটন। সংগ্রহ হয়েছে ১৪৯৫ মেট্রিকটন ৭২০ কেজি। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৩০১৯ মেট্রিকটন। সংগ্রহ করা হয়েছে ১০৭২৬ মেট্রিকটন ২০ কেজি এবং মেহেরপুর জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রযেছে ১২২০ মেট্রিকটন। সংগ্রহ করা হয়েছে ১২০৬ মেট্রিকটন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৮০ মেট্রিকটন। সংগ্রহ করা হয়েছে ৭৪ মেট্রিকটন ৯৮০ কেজি।
২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কম হয়েছে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮২৫৯৫ মেট্টিকটন। সংগ্রহ হয়েছে করা হয়েছিল ৪৫০৩৫ মেট্টিকটন ৬০০ কেজি। কম সংগ্রহ হয়েছে ৩৭,৪৬০ মেট্টিকটন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬২৫৯২ মেট্টিকটন ২৮৬ কেজি। বিভাগের ৭৪৫টি মিল মালিকদের সাথে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক চাল সরবরাহ করবেন।
খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়স্ত্রক মো. আব্দুস সালাম বলেন, অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালার আলোকে ধান ও চাল অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শতভাগ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এ্যাপের মাধ্যমেও সংগ্রহ চলছে।