হারুন-অর-রশীদ : আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞানের প্রত্যাশা পূরণে মাল্টিমিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। খুলনা বিভাগে ৮১৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬হাজার ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ল্যাবটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। ব্লাকবোর্ডের পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত একটি আধুনিক উপকরণ হিসেবে হিসেবে কাজ করছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষজন শক্তিতে পরিনত করার লক্ষে সরকার এই কার্যক্রম পরিচালিত করছে।
সূত্র জানিয়েছেন, বিভাগে বিদ্যালয় রয়েছে ৮১৬৩টি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে ৮১৪৮টি বিদ্যালয়। সোলার সিষ্টেম রয়েছে ৪০৩টি বিদ্যালয়। বিদ্যুৎ সংযোগ ও সোলার সিষ্টেম কোনটাই নেই ১৩টি বিদ্যালয়ে। শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে ৬০২০টি বিদ্যালয়। শুধুমাত্র প্রজেক্টর সবিধা রয়েছে ২০০৬টি বিদ্যালয়। ল্যাবটপ রয়েছে ৩৭৩৪টি বিদ্যালয়। সাউন্ড সিষ্টেম রয়েছে ৫৯৬৬টি বিদ্যালয়। আইসিটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিদ্যালয় রয়েছে৬৬০৩টি। আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন ১১৮২১জন। ল্যাপটব ১২০৪টি বিদ্যালয় এবং প্রজেক্টর অকেজো রয়েছে ৮২৭টি বিদ্যালয়।
বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় ১১৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৯৪টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারেরর সুবিধা রয়েছে। বাগেরহাট জেলায় ১১৬২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭০১টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারেরর সুবিধা রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলায় ১০৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৭৯টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। যশোর জেলায় ১২৮৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০০৩টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। ঝিনেদা জেলায় ৯০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭২০টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। মাগুরা জেলায় ৫০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭৬টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। কুষ্টিয়া জেলায় ৮০৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৬৭টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২৪টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। নড়াইল জেলায় ৪৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪৮টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে এবং মেহেরপুর জেলায় ৩০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০৮টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
রূপসা উপজেলার রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক সজিব কুমার মহুলী বলেন, তার বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জারিত থাকার কারণে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস হচ্ছেনা। নগরীর শের-ই-বাংলা রোডের বাঙালী শিশু একাডেমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানাজ পারভীন বলেন, তার বিদ্যালয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার মাল্টিমিডিয়া ক্লাস হচ্ছে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষজন শক্তিতে পরিনত করার লক্ষে সরকার এই কার্যক্রম পরিচালিত করছে। শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচারিত হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত