তথ্যবিবরণী : খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খুলনা লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের ৬০ বছর পূর্তি সকলের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। বিগত ৬০ বছরে এ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী দেশ ও বিদেশে সুনামের সাথে বিভিন্ন পেশায় সফলতার সাথে কাজ করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যারাই প্রতিষ্ঠা করেন না কেন, তার উদ্দেশ্য থাকে মহৎ। খুলনা লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। ৬০ বছরে আগে তৎকালীন লায়নরা নিজস্ব অর্থ দিয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত করেছেন। আগামীতে এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে।
মেয়র আজ (শনিবার) সকালে খুলনা লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী খুলনার উন্নয়নের জন্য ২২শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যার মাধমে উন্নয়ন কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। ময়ুর নদের আট কিলোমিটার খননের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার করা হয়েছে। অচিরেই এর কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, শুধু মুখে বললেই হবে না, খুলনাকে গ্রীন ও ক্লিন সিটিতে পরিণত করতে হলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
খুলনা লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ আলী আকবর টিপু, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসরাত আরা হীরা, আয়োজক কমিটির আহবায়ক এম নাজমুল আজম ডেভিডসহ বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র প্রাক্তন শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করেন।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।